বন্দর প্রতিনিধি:
বন্দরে একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ঠিকাদারীত্বকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁয়ের মূর্তমান আতংক বজলুর রহমান ওরফে ডন বজলু বাহিনীর অতর্কিত হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন বন্দর উপজেলা পরিষদের দুই দুইবারের চেয়ারম্যান তথা বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুল। ২৯ জুন রোববার দুপুরে ২৭নং ওয়ার্ডের মদনপুর হরিপুর পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে। হামলাকারীরা মুকুলকে প্রহারের পর বিবস্ত্র করে হত্যার চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে ধামগড় ফাঁড়ি পুলিশ মুকুলকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে নবীগঞ্জস্থ বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্মে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নারায়ণগঞ্জ শহরের মেডিনোভা মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আতাউর রহমান মুকুল মিডিয়ার সামনে কথা না বললেও পরে তিনি বিবৃত্তিতে জানান,আমাকে ডন বজলুর লোকজন হত্যা করতে চেয়েছিল। এর আগে তারা আমার কাছে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল। সেই টাকা না দেয়ার কারণেই এই নগ্ন হামলা চালায়। বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঠিকাদারী কোন বিষয় না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশীভুত হয়ে বজলু বাহিনী আমাকে নাজেহাল করেছে। এদিকে বিএনপি নেতার উপর ন্যাক্কারজনক হামলার ভিডিও নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় ওঠে। নেটিজেনরা এ ঘটনার ঘৃনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মুকুলের মতো একজন বরেণ্য রাজনীতিবিদের উপর হামলার ঘটনাটি ভবিষ্যত রাজনীতির জন্য সতর্ক বার্তা হিসেবে দেখছে বোদ্ধা মহল। সূত্র মতে,বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুল ২৯ জুন রোববর দুপুরে মদনপুরস্থ ২৭ নং ওয়ার্ডের হরিপুর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের একটি ঠিকাদারী কাজ চালু করতে যান। কাজটি স্থানীয় মটর চালকলীগ নেতা আলাউদ্দিনের বিধায় এলাকার অপর একটি পক্ষের সঙ্গে বিরোধ হয়। সেই বিরোধের জের ধরে মুকুল গাড়িযোগে সেখানে পৌঁছামাত্রই পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা কাঁচপুরের মূর্তমান আতংক বজলুর রহমান ওরফে ডন বজলুর লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা মুকুল ও তার পিএস মোস্তাককে বেদম প্রহার করে। খবর পেয়ে ধামগড় ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ শরীফ হোসেনের নেতৃত্বের একটি চৌকশ দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধারে এগিয়ে এলে বজলু বাহিনী পুলিশকেও মারধর করে। এক পর্যায়ে মুকুলকে বিবস্ত্র করে হত্যার জন্য উদ্যাত হলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাঠানোর ব্যবস্থা করে।