বিশেষ প্রতিনিধিঃ ঢাকা জেলার সাবেক সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মোঃ মফিজার রহমান রাজু যিনি শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরে কপাল খুললো তার। কিশোর গ্যাং নিয়ে চলাফেরা করেন তিনি। সাধারণ মানুষ কে বোজানোর জন্য করেন রং এর কাজ - আবার সে রাজনীতিবিদ সেই কিশোর গ্যাং নিয়ে বাবা খায় দিন রাতে, বাংলা মদ এবং অনন্য নেশা করেন তিনি। গত মে মাসের ২০ তারিখ রাত ১১ টায় ফোন করেন সাংবাদিক রিয়াদুল ইসলাম জামাল কে যিনি বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট রিপোর্টার্স কাউন্সিল এর আহ্বায়ক এবং দৈনিক যুগান্তর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক মফিজার রহমান রাজু ফোন করে রিয়াদুল ইসলাম জামাল কে বলেন জরুরী কথা আছে বাসার পাশের চায়ের দোকানে আসো আমি সরল মন এবং বিশ্বাসে গেলে আমার সাথে কিছুক্ষন কথা বলার পর রাজু ফোন করেন তার কিশোর গ্যাংয়ের দুইজন কে। তারা ঐ জায়গায় আসলে রাজু সাহেব এর নিজ মোটরসাইকেল তাদের হাতে দিয়ে দেয়। এবং আমাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আমি ডাক চিৎকার করতে গেলে কিশোর গ্যাংয়ের একজন আমার পিটে পিস্তল ধড়ে। আমি বাধ্য হয়ে তাদের সাথে মোটরসাইকেলে উঠি। আমাকে নিয়ে যায় আশুলিয়া পলাশবাড়ীর এক বাসার পকেট রুমে সেখানে চলে সারা রাত বাবা খাওয়ার আড্ডা। আমাকে সারারাত রাজু লোহাড় পাইপ দিয়ে পিটিয়েছে এবং বুকের উপর উঠে পারিয়েছে। যখন রাত কেটে গেল সকাল হলো। সে সহ তার কিশোর গ্যাং ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবী করেন। আমার স্ত্রী কে ফোন করে মুক্তিপন এর ৫০ হাজার টাকা চায় নতুবা আমাকে মেরে ফেলবে এই বলে আমার স্ত্রী কে ফোন করেন।এভাবে সারাদিন চলে যাওয়ার পর বিকাল ৪ টায় আমার বউ ৫০ হাজার টাকা দিতে রাজি হয়। টাকা নেয়ার পর আমাকে দিয়ে মুক্ত করে দেয়। কিন্তু মুক্তি দেওয়ার আগে আমাকে রাজু এবং তার কিশোর গ্যাং বলেছে আমি এই ঘটনা যদি পুলিশ অথবা কাউকে বলি তাহলে আমাকে প্রানে মেরে ফেলবে। মুক্তি পনের টাকা দিয়ে মুক্তি হওয়ার পরে জুন মাসের ৬ তারিখে আমাকে ফোন করেন তার কিশোর গ্যাং এর একজন সদস্য যাহার নাম জানিনা। তিনি বলেন ৫০ হাজার টাকা বিকাশে পাঠানোর জন্য আমি বললাম কিসের টাকা? তিনি বললেন ৫০ হাজার দিছো আরও ৫০ হাজার দিতে হবে নতুবা তোমাকে মেরে ফেলবো। এই কথা শুনে আমি ফোন কেটে দেই আমার ব্যাক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দিয়ে আমাকে এবং আমার স্ত্রী কে হুমকি প্রধান করে যাহার স্কিন সর্ট রয়েছে। আমার উপর নির্যাতনের প্রমান ও সাক্ষী রয়েছে।