চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানাধিন দক্ষিণ কাট্টলী ফকির বাড়ি এলাকায় সিডিএর অসাধু কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে সিডিএ'র প্ল্যান বহির্ভূত ও সিডিএর নিষেধাজ্ঞা থাকা স্বত্বেও দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে অন্যায়ভাবে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হলে তা অপসারণের দাবি জানিয়ে সিডিএ কর্মকর্তাদের নাম উল্লেখ করে গতকাল সোমবার লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগে সাবেক কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা শেখ শাহজাহান মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সিডিএ জোনের কর্মকর্তা শাহদাত হোসেন, অথোরাইজড অফিসার-২ ও ইমারত নির্মাণ কমিটির সদস্য সচিব তানজিব হোসেন, অথোরাইজেশন বিভাগের উচ্চমান সহকারী সেলিম উদ্দীনসহ চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানায়
নগরীর পাহাড়তলীর দক্ষিণ কাট্টলী এলাকায় জাল কাগজ বানিয়ে গরীব অসহায় মানুষের জায়গায় জোর পূর্বক অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু কলে গত ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি চলাচল রাস্তা বন্ধ করার ঘটনায় সিডিএ সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিডিএ ২০২৪ সালের ৫ জুন নোটিশ ইস্যু করে অভিযোগের বিষয় শুনানী হয়। শুনানী শেষে অথরাইজড অফিসার-২ ও সদস্য সচিব, ইমারত নির্মাণ কমিটি-২, নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকার পর গত ২৩ মে কাজ শুরু করলে সিডিএর লোকজন কাজে বাঁধা দেয়ার চেষ্ঠা করলেও। সিডিএর অসাধু কর্মকর্তাদেও টাকার বিনিময়ে তার পক্ষে নেন। সাবেক কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান সিডিএর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেনসহ দায়িত্বপ্রাপ্তদের মোটা অংকের বিনিময়ে কাজ করার অনুমতি নিয়েছে বলে অভিযোগকারীকে হুমকি দেন। জায়গায় কেউ বাঁধা দিলে মেরে ফেলা হবে বলে হুংকার দেন। অভিযোগকারী বিবি কুলসুমকে উক্ত জায়গা নিয়ে আর বেশি কিছু করার চেষ্ঠা না করার জন্য বলেন। বিবি কুলসুম জানান, দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে স্থাপনা নির্মানে প্রথমে সিডিএ সহযোগিত করলেও সিডিএর লোকজন আমাদেরকে বিভিন্নভাবে অসহযোগিতা এবং হয়রানি করে আসছে আমরা বিচার চেয়ে বিচার না পেয়ে হতাশ হয়েছি। এ বিষয়ে সিডিএ ইমারত নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী এডিএম সেলিম জানান, অভিযোগ তদন্ত করে সিডিএর কোন অফিসারের অবহেলা এবং অনৈতিক লেনদেন বিষয় প্রমান পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে অফিসিয়াল ব্যবস্থা নেয়া হবে।