চট্টগ্রাম ব্যুরো।
জাতিসংঘ ২০২১ সালে ২৫ জুলাইকে বিশ্ব পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ দিবস ঘোষনা করে। পানিতে ডুবে মৃত্যু নিয়ন্ত্রণ করা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর সুপারিশকৃত বেশ কিছু পদক্ষেপের মাধ্যমে ডুবে যাওয়া প্রতিরোধ করা যেতে পারে। এই পদক্ষেপ গুলো বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সংস্থা ও বিভিন্ন ধাপে পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশসহ সদস্য দেশগুলো সম্মত হয়ে বিষয় গুলো বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
১) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ্য সূচীতে সাঁতার ও পানিতে সুরক্ষার দক্ষতা শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ফলে অনেক তরুন পানিতে নিরাপদ সুরক্ষার জন্য নিজেকে তৈরী করতে পারে। ২) দেশে সুইমিং পুলের ও পুকুরের চারপাশে নিরাপদ বেস্টনি দেওয়ার আইন। ৩) নৌকা চালনার
সময় লাইফ জ্যাকেট ব্যবহারের আইন। লাইফ জ্যকেট জরুরি পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং জীবন বাঁচাতে পারে।
৪) দেশে দূর্যোগপূর্ণ ও জরুরি অবস্থায় জাতীয় অনুসন্ধান এবং উদ্বার পরিসেবা দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করা। জাতীয় আবহাওয়া সর্তকতা বিনা মূল্যে প্রদান, যা চরম আবহাওয়ার সময় নিরাপত্তা তথ্য দেয়।
পানিতে ডুবে যাওয়া বিষয় বিভিন্ন সংস্থা, সমাজ, পরিবার ও তরুন শিক্ষার্থীরা, আমরা সবাই একসাথে কাজ করলে প্রতিরোধ করতে পারি। একটি প্রানহানি একটি পরিবারের জন্য অনেক ভয়াবহ ও অপূরনীয় ক্ষতি। বাংলাদেশে অসংখ্য শিক্ষার্থী, পর্যটক ও নানা বয়সের মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়। অনেক সম্ভবনাময় তরুনের মৃতু ঘটে। একটা পরিবারের স্বপ্ন মূহুর্তে ই ধূলিসাৎ হয়ে যায়। পরিবার, সমাজ ও দেশ হারিয়ে ফেলে ভবিষ্যত প্রজন্মের ভলো জনসম্পদ।
২৫ জুলাই শুক্রবার বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস, রহমান হলে বক্তারা লিখিত বক্তব্যে এসব কথা তুলে ধরেন ।
ভক্তরা বিভিন্ন সময় পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনার তথ্য দিয়ে আরো বলেন
গত ১৪ ই জুন, শনিবার, বিকাল ৪টায়, চট্টগ্রাম ক্যান্টমেন্ট পাবলিক কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী ও ডিওএইচএস অধিবাসী তাসিন আনোয়ার, সীতাকুন্ড লেকে ডুবে মৃত্যু বরন করে। ডিওএইচএস লেকে সিইএসসি শিক্ষার্থী শান মৃত্যু বরন করে। কক্সবাজারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী ছাড়া ও সম্প্রতি অনেক মেধাবী ছাত্র পানি দূর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু সংঘটিত হয়েছে। শিক্ষার্থী, বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ সচেতনতা তৈরি করা জরুরি।
সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী আনোয়ার কবি , সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিবুল্লাহ বাহার সদস্য সচিব প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম , হাসিনা নাজমা খানম, ব্যাংকার মোঃ মহিউদ্দিন মাহমুদ , ব্যাংকার মোহাম্মদ ফরিদ আহমেদ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর প্রমূখ উপস্থিত বক্তারা সরকারের কাছে ও সামাজিক সংগঠন, পেশাজীবি, শিক্ষার্থী ও আম জনতা সবাইকে পনিতে নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতন হওয়া আহ্বান জানান।