রবিউল হোসেন রাজশাহী থেকে:
রাজশাহী (পুঠিয়া -দুর্গাপুর)-৫ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশাী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মন্ডল নির্বাচনী ১২ টি দফা বাস্তবায়ন করার লক্ষে কাজ করছেন। গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, একজন রাজনৈতিক নেতা এবং সংসদ সদস্যের (MP) দেশের প্রতি, সমাজের প্রতি ও জনগণের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। এগুলো রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করতে হবে।
১ .সংবিধান রক্ষা: দেশের সংবিধান ও আইন অনুসরণ করা এবং এর প্রতি আনুগত্য রাখা।
২.সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরা এবং দেশকে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক হুমকি থেকে রক্ষা করার জন্য নীতি গ্রহণ ও সমর্থন।
৩. উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা: অর্থনৈতিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামোসহ অন্যান্য খাতে টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা ও বাজেট প্রণয়ন করা।
৪ .পররাষ্ট্র নীতিতে সহায়তা দেশের মর্যাদা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে রক্ষা করা ও উন্নত সম্পর্ক বজায় রাখতে,হবে।
৫. সামাজিক সাম্যতা প্রতিষ্ঠা: ধর্ম, বর্ণ, জাতি, লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করবো,ইনশাল্লাহ
৬. বেকারত্ব, দরিদ্রতা ও সামাজিক বৈষম্য দূর করতে প্রকল্প গ্রহণ করব।
৭. নৈতিকতা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা: সমাজে সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও শালীন আচরণ প্রতিষ্ঠার লক্ষে কাজ করব।
৮. সামাজিক সমস্যা সমাধান: দুর্নীতি, মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং ইত্যাদির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
৯. জনগণের স্বার্থে কাজ করব ব্যক্তিগত বা দলীয় স্বার্থের চেয়ে জনগণের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,।
১০. জনগণের কথা শোনা ও প্রতিফলন ঘটানো: সংসদে এলাকার জনগণের সমস্যা, চাহিদা ও মতামত তুলে ধরবো ইনশাল্লাহ।
১১. উন্নয়ন প্রকল্পে অংশ হিসেবে, নির্বাচনী এলাকার রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদির উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করব ইনশাল্লাহ।
১২. জনগণের সাথে যোগাযোগ, নিয়মিত জনসংযোগ, গণশুনানি, মতবিনিময় সভা ইত্যাদির মাধ্যমে জনসম্পৃক্ততা বজায় রাখার জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করব। অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মন্ডল আরও বলেন। পুঠিয়া দুর্গাপুরের মাটি আমার জন্মভূমি, তাই পুঠিয়া দুর্গাপুরের গণমানুষের পাশে সব সময় আমি থাকবো ইনশাল্লাহ এবং ২০১৮ সালে পুঠিয়া দুর্গাপুরের গণমানুষ ব্যালটের মাধ্যমে দেখিয়ে দিয়েছে বিএনপিকে, এবং ধানের শীষ প্রতীকে কতটা ভালোবাসে। এবং আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পরেই আমি সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছিলাম। দুঃখের সাথে আরো বলতে চাই স্বৈরাশাসক সরকারের আমলে এত ভোট পাওয়ার পরেও কারচুপির মাধ্যমে আমাকে পরাজয় করানো হয়েছে।