চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিস:
চট্টগ্রাম নগরীর বাণিজ্যিক কেন্দ্র চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে আওয়ামী লীগ বিএনপি একাকার হয়ে গরীব অসহায় মানুষের জায়গা জোর পূর্বক দখল, পাশাপাশি সরকারি খাস জায়গা দখল করে দোকান বিভিন্ন স্থাপনা ও দোকানপাট নির্মাণ করে বাণিজ্য করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেকে জুলাই আন্দোলনে ছাত্র জনতার উপর হামলা মামলার আসামি হয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা আত্মগোপনে চলে গেলেও তাদের হয়ে ব্যবসা বাণিজ্যি পরিচালনা এবং চাঁদাবাজি করে আসছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে অবৈধ দখল বাণিজ্য সিন্ডিকেটের মধ্যে রয়েছে কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সেলিম, বক্সিরহাট ওয়ার্ড যুবলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আকতার হোসেন প্রকাশ কসাই আক্তার, ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক জসিম উদ্দীন মিন্টু, বক্সিরহাট ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা কবির প্রকাশ নোয়াখাইল্যা কবির, ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা ইসমাইলসহ একটি সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটের কাজ হচ্ছে এলাকার বিরোধপূর্ণ জায়গা টাকার বিনিময়ে জোর পূর্বক দখল করা এবং নিজেরা দখল করে, পাশাপাশি পুরো এলাকায় অবৈধ ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করা। বিগত ১৭ বছর ধরে উক্ত এলাকায় বক্সিরহাট ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছাত্র জনতার উপর হামলার ঘটনায় একাধিক ঊমামলার আসামি ফয়েজ উল্লাহ চৌধুরী বাহাদুর দলীয় লোকজন দিয়ে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ এলাকায় চোরাই অবৈধ মসল্লা, অবৈধ পলিথিন ব্যবসা, নতুন ফিশারীগাট এলাকায় বরফ ব্যবসা, মাছের টুকরী ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন। গত ২৪ শে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পর আওয়ামী লীগের লোকজন পালিয়ে গেলেও পুরো অবৈধ ব্যবসা বানিজ্য নিয়ন্ত্রনে নেন আওয়ামী লীগের নেতাদের যোগসাজশে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে একটি সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটের বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে পুরো এলাকাবাবাসী অতিষ্ঠ ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খোলার সাহস করছে না। সিন্ডিকেটটি নতুন ফিশারীঘাট এলাকায় বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম সেলিম ও জসিম উদ্দীনের নেতৃত্বে সরকারি খাস জায়গা অবৈধভাবে দখল করে দোকান নির্মাণ করেছে। চাক্তাই জামাল চেয়ারম্যান ড্রাম পট্টি এলাকায় কবির সওদাগরের পরিবারের লোকজনকে চাঁদা দাবি করে বিল্ডিং এর ভাড়া তুলতে বাঁধা। নতুন চাক্তাই নয়া রাস্তার মাথা এলাকায় হাজী বাদশা মিয়া চৌধুরীর পরিবারের প্রায় ৪ কোটি টাকার মূল্যবান জায়গা জোর পূর্বক দখল করে রাতারাতি সেলিম এন্ড সন্স নামের সাইন বোর্ড লাগিয়ে দখল, যুবলীগ নেতা কসাই আকতার ও বিএনপি নেতা সেলিমের নেতৃত্বে চাক্তাই মিষ্ঠি ফুলের পেছনে সরকারি খাস জায়গা দখল করে গ্যারেজ নির্মাণ।
এ বিষয়ে বাদশা মিয়া চৌধুরী পরিবারের সদস্য মোহাম্মদ মাসুম জানান, আমাদের জায়গাটি হঠাৎ জোর পুর্বক দখল করে সাইন বোর্ড লাগিয়ে দেয়া হয়েছে, এখন আমাদের আইনের আশ্রয় নেয়া ছাড়া কোন পথ খোলা নেই। এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সেলিম জানান, আমি বাদশা মিয়া চৌধুরীর পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে শুধু মাত্র একটা দোকান বৈধভাবে টাকা পয়সা দিয়ে কাগজমূলে নিয়েছি, বাকীযাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমি তাদের বিষয়ে কিছু বলব না, আমি সম্মান নিয়ে চলার চেষ্টা করি, আমি এবং আমার পরিবারের একটা সম্মান আছে ঐতিহ্য আছে এলাকার কেউ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমান করতে পারবে না,সামনে কমিটি হবে এজন্য আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার মাত্র অভিযোগ কেউ সরেজমিন তদন্ত করলে মিথ্যা প্রমানিত হবে ।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ জানান, বিএনপির কোন নেতা কর্মী দলীয় প্রভাব খাটিয়ে কোন জায়গা দখল এবং অবৈধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়লে তার বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব, স্থানীয় থানা পুলিশকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করব, দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কোন অপরাধ করলে তাদের ছাড় নেই, সে যত বড় নেতা হউক যে হউক না কেন।