লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) সংবাদ দাতা
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা দরবেশ হাট ডিসি রোডে শাহপীর মাজার সামনে থেকে লোহাগাড়া শাহশার ঘাটা পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন অংশ এখন বড় বড় গর্ত, ভাঙন ও খানাখন্দে ভরে গেছে। ফলে নারী, শিশু, রোগীবাহী যানবাহনসহ প্রতিদিন সাধারণ মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। রাস্তাটির ভয়াবহ অবস্থার কারণে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ সব বয়সি মানুষ। একটু বৃষ্টি হলেই গর্তে জমে থাকে পানি আর পানি।
সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে ছোট-বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পর এসব খানাখন্দে পানি জমে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা-ভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন। যানবাহনের ধীরগতির কারণে প্রায়ই সড়কটিতে দুর্ভোগে শিকার হতে হয়। বলতে গেলে সড়কের বিভিন্ন অংশে একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সড়কের পাশ দিয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বড় আউলিয়া শাহপীর মাজার,লোহাগাড়া শাহপীর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, মোহাম্মদিয়া মাদ্রাসা, দক্ষিণ সুখছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিফতাহুল উলুম মাদ্রাসাসহ ভিবিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান অবস্থিত৷
দরবেশ হাট বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মিজান বলেন, প্রতিদিন তার নিজ বাসস্হান হতে বাজারে আসার সময়ে রিক্সা বা সিনজি করে যাতায়েত করতে হয়। ৫মিনিটের রাস্তা যেন বিরক্তের কারণ৷ রাস্তার এমন অবস্থা যেকোনো গর্ভবতী মহিলা যদি এ রাস্তা দিয়ে যায়, তাহলে হাসপতালে না পৌছার আগেই রাস্তায় দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার জরুরি।
শিক্ষাপ্রতিষ্টানের শিক্ষকদের বক্তব্য, রোজ বাসা থেকে সিএনজি বা অটো করে স্কুলে আসার সময় কোমর ব্যাথা হয়ে যায়। আমাদের স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের চলাচলে সময় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। দ্রুত সময় সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নিলে এলাকার মানুষ,শিক্ষার্থী ও যান চলাচলে অনেক উপকার হবে।
শাহ্শার ঘাটার বাসিন্দা মারুফ হোসেন বলেন, দরবেশ হাট ডিসি রোডটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সকল শ্রেণীর মানুষের জন্যে৷ এই রোড দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত৷ আমি নিজেও সড়কটি দিয়ে বটতলী স্টেশনে যাতায়াত করি দুঃখের বিষয় খুব কস্ট হয়ে যায়,আমাদের চলাচলের জন্য দ্রুত সংস্কারের জরুরি বলে মনে করছি।
এই বিষয়ে সিএনজি, অটোরিকশা ও ভ্যান গাড়ি ড্রাইবারদের বক্তব্য নিলে তারা বলেন,জীবিকার তাকিদে আমাদের আয়ের উপার্জন গাড়ি নিয়ে সড়কে বাহির হতে হয়৷ বর্তমানে রোডের ভাড়ার অবস্থা আগের মতো নেই৷ ব্যবহৃত সড়কটিরও বেহাল দশা। সড়কে খানাখন্দ থাকায় প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে৷ ভাঙাচোরা রাস্তায় সিএনজি চালাতে গিয়ে প্রায় নাটবল্টু খুলে পড়ে যায়। দিনে যা আয় করি মেরামতেই তা খরচ হয়ে যায়। আর যানজট তো প্রতিদিন লেগেই থাকে। ২০-২৫ মিনিটের রাস্তা যেতে সময় লাগে ৬০ মিনিট।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মোঃ সাইফুল ইসলামের কাছে বিষয়টা অবগত করলে তিনি বলেন, সড়কটি বিষয়ে অবগত আছি, অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সড়কটি সংস্কারের বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) এর সঙ্গে সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে।