নিজস্ব সংবাদদাতা
নবীন-প্রবীণ কবি-সাহিত্যিকদের মেলবন্ধন তৈরির প্রত্যয়ে এগিয়ে চলা জাতীয় সাহিত্য সংগঠন কাব্যকথা সাহিত্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে পহেলা জুলাই শিশুকল্যান পরিষদে কবি জাকির আবু জাফরের সভাপতিত্বে পুঁথিসম্রাট খ্যাত কবি জালাল খান ইউসুফীর উপস্থাপনায় প্রফেসর মো: আমির হোসেনকে মধ্যমণি করে অনুষ্ঠিত হয়েছে ১১৯তম কাব্যকথা সাহিত্য আড্ডা। অনুষ্ঠানে ছিল আলোচনা, স্বরচিত কবিতা, ছড়া, পুঁথিপাঠ ও কেক কেটে মধ্যমণি ও অনুষ্ঠানের সভাপতির জন্মদিন উদযাপন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী লেখক ফোরাম সভাপতি কবি শাহীন রেজা, অনুষ্ঠান শুভ উদ্বোধন করেন এসজিএস বাংলাদেশের সহকারী ব্যবস্থাপক লেখক রাইয়ান জহির। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কালচারাল একাডেমির সেক্রেটারি কবি ইবরাহীম বাহারী, নব্বইয়ের অন্যতম কবি কামরুজ্জামান। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন দৈনিক বিজয় পত্রিকার সম্পাদক কবি সাব্বির আহমেদ সেন্টু, কাজী ইমাম উদ্দিন রতন, প্রফেসর পত্নী, প্রফেসর সৈয়দা খায়রুন্নাহার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কথাশিল্পী খন্দকার আতিক, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ঢাকা শফিকুল ইসলাম আরজু, মধ্যমণিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন- কবি কামাল হোসাইন, কবি আতিকুজ্জামান খান, কবি রানা হামিদ, কথাশিল্পী ফাতেমা খন্দকার, কবি মরিয়ম রহমান, কবি শাহাজাদা সেলিম, কবি সালমান ফারসী, কবি কবির ভূইয়া, কবি আহমেদ মঈন, কবি আব্দুস সালাম চৌধুরী, কবি নিশাত সারমিন জেসমিন, কবি মরিয়ম রহমান, কবি মেহেজাবিন লিয়া প্রমুখ। গান পরিবেশন করেন, কণ্ঠশিল্পী লাবনী আক্তার, কণ্ঠশিল্পী সরোয়ার মাহিন, পুঁথিপাঠ করেন, পুঁথিশিল্পী সালাম শামীম, জালাল খান ইউসুফী। উপস্থিত ছিলেন, কবি জব্বার আল নাঈম, কবি রাহান তাপস, ফাতেমা হক, মো. সামসুল হক, মো. শামীম শেখ, জিয়া হাজিম জেসি, বিমল চন্দ্র ঘোষ, ইলা ইয়াসমিন, কবি ও সম্পাদক মাহমুদ নোমান, মো. সালাহউদ্দিন, শিল্পী রানী, রুমা খানম, মেহেদী হাসান প্রমুখ। আড্ডার মধ্যমণি প্রফেসর মো: আমির হোসেন। পিতা- আব্দুল খালেক। মাতা- সারবান বিবি। জন্ম ১৯৬৩ সালের পহেলা জুলাই। সেই হেসেবে আজ তার জন্মদিন। গ্রাম- কান্দারগাঁও, পোস্ট- শিবনগর, ইউনিয়ন- বড়কান্দা, উপজেলা- মেঘনা (পুরনো দাউদকান্দি), জেলা- কুমিল্লা। এসএসসি-১৯৭৯, মুজাফফর আলী হাইস্কুল, কান্দারগাঁও, মেঘনা, কুমিল্লা। এইচএসসি- ১৯৮১, সরকারি হরগঙ্গা কলেজ, মুন্সিগঞ্জ। বিএ (অনার্স) ১৯৮৪, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এমএ (বাংলা) ১৯৮৫- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ডিপইনএড-১৯৯২- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষকতা- শিক্ষক-মুজাফফর আলী হাইস্কুল (অনারারি), প্রভাষক- আব্দুল মতিন কলেজ, মেঘনা, কুমিল্লা, প্রভাষক- ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, প্রধান শিক্ষক- শিশুশিক্ষালয় হাইস্কুল, রামপুরা, ঢাকা, সহকারী শিক্ষক- তিতাসগ্যাস আদর্শ বিদ্যালয়, ডেমরা, ঢাকা, সিনিয়র শিক্ষক- যমুনা সারকারখানা হাইস্কুল, সরিষাবাড়ি, জামালপুর। প্রভাষক- সাতকানিয়া সরকারি কলেজ, দক্ষিণ চট্টগ্রাম, প্রভাষক- গফরগাঁও সরকারি কলেজ, ময়মনসিংহ, সহকারী অধ্যাপক- সরকারি সাদত কলেজ, টাঙ্গাইল, বিভাগীয় প্রধান- শেখ লুৎফর রহমান সরকারি কলেজ, গোপালগঞ্জ। বিভাগীয় প্রধান- সরকারি তোলারাম কলেজ, নারায়ণগঞ্জ, বিভাগীয় প্রধান- সরকারি হরগঙ্গা কলেজ, মুন্সিগঞ্জ, অধ্যক্ষ (প্রিন্সিপাল) গফরগাঁও সরকারি কলেজ, ময়মনসিংহ, বিভাগীয় প্রধান- জাহেদা সফির সরকারি কলেজ, জামালপুর, অধ্যক্ষ(প্রিন্সিপাল) গৌরনদী সরকারি কলেজ, বরিশাল, অধ্যক্ষ(প্রিন্সিপাল)- ঘিওর সরকারি কলেজ, মানিকগঞ্জ, প্রফেসর মো: আমির হোসেন, ত্রয়োদশ বিসিএসে বাংলায় প্রথম হয়ে সরকারি কলেজে যোগদান করেন। ২০১৩ সালে প্রফেসর পদে পদোন্নতি পান। ২০২২ সালে পিআরএলে চলে যান, বর্তমানে তিনি অবসর জীবনযাপন করছেন। তিনি একাধারে কবি, গল্পকার, ছড়াকার, প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক ও গীতিকার। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ ২৭টি। গান তিন শতাধিক। সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত একজন স্পষ্টবাদী মানুষ প্রফেসর মো: আমির হোসেন ছিলেন ১১৯ তম কাব্যকথা সাহিত্য আড্ডার মধ্যমণি।
Leave a Reply