1. admin@dainikbijoy24.com : dainikbijoy-24 :
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ১০:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বন্দরে যুবদল নেতা দ্বীন ইসলামের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ড. ইউনূস ভাল লোক হলেও সরকারের মধ্যে কিছু দুষ্ট লোক ঢুকেছে ঃ এ্যাড. সাখাওয়াত বন্দরে বীরমুক্তিযোদ্ধা গিয়াসউদ্দিন কমান্ডার আর নেই ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্যেই জুলাইয়ে ওয়াসিমরা শহীদ হয়েছিল ৥ নাসির উদ্দিন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদের স্মরণে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত সিডিএর কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অবৈধ স্থাপনা নির্মানের অভিযোগ বন্দর থেকে সোহাগ হত্যা মামলার আসামী নান্নু র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার চট্টগ্রামে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন নির্বাচন পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করতে হবেঃ  নুরুল হক নুর গণতন্ত্র বিরোধীদের ‘রাজনৈতিক দল’ বলা যায় নাt আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

গানরাজ বাউল হেলাল খান ও তার গানের পৃথিবী

  • প্রকাশিত : শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫
  • ১৮৪ বার পাঠ করা হয়েছে

আবুল বাসার সেরনিয়াবাদ

বাউল গান হলো আমাদের নিজেস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। আমাদের গানের পৃথিবী বাউল গান ছাড়া ভাবাটাই অসম্ভব। বাউল গানকে যারা জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছাতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন, তারা হলেন- লালনশাহ, হাছন রাজা, আরকুম শাহ, দুরবিন শাহ, দীনহীন, রাধারমন, কামাল পাশা, আঃ করিম, আমির উদ্দিনের মতো বাউল। তাদের গান যেমন দেশে সমাদৃত তেমনি বহির্বিশ্বেও সমানভাবে সমাদৃত, তাদের পথ ধরে এগিয়ে চলা এ সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাউল হেলাল খান। তার গানও ইতোমধ্যেই দেশে-বিদেশে সমান ভাবে সমাদৃত হয়েছে ও হচ্ছে । বাউল হেলাল খান সিলেট জেলার ওসমানীনগর থানাধীন নিজবুরুঙ্গা গ্রামে ৫ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। বাবা প্রয়াত লোকসাহিত্যের অন্যতম কবি ইউসুফ খান। মাতা ছুরতুনেছা ছুরতী। দশ ভাই বোনের মধ্যে হেলাল খান চতুর্থ। বড় ভাই জালাল খান ইউসুফী গত শতাব্দীর ৯০ দশকের অন্যতম প্রধান সব্যসাচী লেখক ও পুঁথিসম্রাট উপাধীতে ভূষিত। ছোট ভাই লুবাবগীতির প্রবক্তা, ছড়াকার ও গল্পকার মাহবুব খান লুবাব, দাদা চান খাঁ সাহেব পুঁথিলেখা ও পাঠে সিদ্ধহস্ত ছিলেন। এদিক দিয়ে বাউল হেলাল খান একজন বংশগত কবি ও সংস্কৃতিকর্মি। তিনি ছোট বেলা থেকেই সঙ্গীতের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। তৃতীয় শ্রেণিতে পাঠরত অবস্থায় তার লেখালেখি শুরু হয়। প্রথম প্রকাশিত গীতিগ্রন্থ ‘বন্ধুর মোবাইল নাম্বার নাই’ একই নামে তার কথা ও সুরে স্ব-কন্ঠের প্রথম অডিও ক্যাসেট প্রকাশিত হয় ২০০৩ সালে। নিজের কথা সুর ও কণ্ঠে দ্বিতীয় ভিডিও সিডি হযরত শাহজালাল (র:) কে নিয়ে একক এ্যালবাম ‘জালালী কুদরত’ তৃতীয় এ্যালবাম ‘কিতালাগি গেলায় তুমি লন্ডনে’ এটি আঞ্চলিক ও অন্যান্য গান নিয়ে তৈরি।
তিনি শুধুই গীতিকবি তা নয়! একজন ভালো অভিনেতাও। তার অভিনীত প্রথম নাটকের এ্যালবাম আলাল উদ্দিন আলাল পরিচালিত সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত ‘যাইতায়নি বিদেশ’, দ্বিতীয় নাটকের এ্যালবাম ‘বিয়া খরমু ছয়মাস বাদে’, এটি তার অভিনীত ও পরিচালিত প্রথম নাটক। চতুর্থ ভিডিও সিডি ‘মাটির ঘর’ এ্যালবামে গীতিকবি হাসনাত মু. আনোয়ার, গীতিকবি মো: শিপন, গীতিকবি মো: সাদিক তাজিনের কথায় ও নিজের সুরে স্ব-কন্ঠে গেয়েছেন। বাউল হেলাল খান নিজে গান লিখেন, সুর করেন এবং স্বকণ্ঠে গেয়ে থাকেন, সাথে কাওয়ালী শিল্পী হিসেবে যেমন খ্যাতিমান তেমনি পুঁথিশিল্পী হিসেবেও যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে। তিনি একাদারে একজন গীতিকার সুরকার কন্ঠশিল্পী ও সংগীত পরিচালক। গীতিসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য জাতীয় সাহিত্য পদক-২০১৫ অর্জন করেছেন। পুরস্কারটি ঢাকায় জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের অডিটোরিয়ামে মাননীয় মন্ত্রী মুজিবুল হক এমপি ও কবি মুহম্মদ নুরুল হুদার হাত থেকে গ্রহণ করেন। তিনি বিটিভি, এসএটিভি, এসটিভি, এনটিভিসহ অন্যান্য টিভি চ্যানেলে গান করে থাকেন। হেলাল খান কাব্যকথা সাহিত্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট বিভাগীয় শাখার সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং ইউসুফী শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
আধুনিক ও বিজ্ঞান যুগেও সংগীত ভুবনে বাউল গান মাথা উঁচু করে সম্মানের সাথে তার স্থান দখল করে আছে। এ ধারাবাহিকতায় বর্তমানে অনেক বাউল গান চর্চা করে চলেছেন। এদেরই অন্যতম একজন বাউল হেলাল খান। আধুনিকতার ছোঁয়ার জন্যই কিছুদিন পূর্বেও হয়ত বা তাকে দেখে বাউল বলে চেনা ভার ছিলো। তার মাঝে বাউলের আচরণ বা পোষাকে বাউল-এর ধাচ লক্ষ করা যায়নি। তবে তিনি নিষ্ঠার সাথেই বাউল গান চর্চা করে চলেছেন। তাই তার জনপ্রিয়তাও আকাশচুম্বি। বর্তমানে তিনি আপাদ মস্তক একজন বাউল। যে কেউ দেখলেই বুঝে যাবে লোকটি বাউল। ‘রঙ্গীলা দালান’ তার প্রকাশিত দ্বিতীয় গীতিগ্রন্থ। এ গ্রন্থে কাওয়ালী, মুর্শিদী, বিচ্ছেদী, শরীয়ত, মারেফত, দেহতত্ব সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় ১৪০টি গান স্থান পেয়েছে। এ গানগুলো বিভিন্ন ক্যাসেট, টিভি চ্যানেল ও ষ্টেজপ্রোগ্রামে গীত। আর এ গ্রন্থের গানগুলিই তাকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির কাছে বাউল পরিচিতি এনে দিয়েছে। শুধু বাংলাদেশই নয়, পশ্চিমবঙ্গ, কলকাতা থেকে শুরু করে ত্রিপুরা, আসাম এমনকি ইউরোপ, আমেরিকার বাংলা ভাষাভাষি মানুষের গাছ্ওে বাউল হেলাল খানের গান জনপ্রিয়। বিশেষ করে শিশু রাজনের হত্যা কাণ্ড নিয়ে লেখা ও গাওয়া-
‘রাজনকে যে মারল ভাই,
বাংলাবাসি বিচার চাই
রাজন হত্যাকারীর কোন ক্ষমা নাই ।
অথবা-
‘রাজন নামের শিশু ছেলে মারিল পাষাণে..
এ দুটি গানই তাকে জনপ্রিয়তার উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। অথবা বিচ্ছেদ গান-‘নিশিতে ডাকে যে কোকিলা’ ‘পুড়ে পুড়ে অঙ্গার আমার সারাটি জীবন..’ ‘কার ছলনায় পড়ে আমার..’ ‘মাটির ঘরে কে যে বিরাজ করে..’ এসব গানই বাউল হেলাল খানকে এনে দিয়েছে আকাশ চুম্বি জনপ্রিয়তা। যা চির সত্য তাই উঠে এসেছে তার ঐতিহাসিক রঙ্গীলা দালান গ্রন্থের রঙ্গীলা দালান গানে। বিশেষ করে তার গানে চির সত্যকথাটি উঠে এসেছে এভাবে।
সাড়ে তিন হাত মাটির ঘরে পড়ে থাকবে দেহখান
থাকবে না তর সঙ্গের সাথী রঙ্গীলা দালান
হো.. হো.. থাকবে না তর .. .. . ।
চলবে না তর বাউলা গান আর বেলার হেচকা টান
হারমনিতে বাজবে না রে-২
সোনা বন্ধুর বিচ্চেদ গান\ ঐ
বায়না করতে আসবে না রে ভক্ত আশেকান
ঘরোর বধু ডাকবেনারে-২
খাইতে আশো সোনার চান\ ঐ
লাভের আশায় আইসা ভবে হারাইলাম চালান
পাগল হেলাল ভাবনা করে-২
মাপনি করে দয়াল চান\ ঐ
বাউল হেলাল খানের এমন অনেক গান প্রান্তিক মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে, কারণ গানের মাঝে প্রাণের কথা বলেছেন তিনি। নিজের কথা বলতে গিয়ে কিভাবে যে মানুষের কথা বলা হয়েগেছে তা হয়তো হেলাল খান বুঝতেই পারেননি। যেমন-
মসজিদের মাইকে যেদিন হবেরে এলান
ইন্নালিল্লা পড়ে বলবে নাইরে হেলাল খান
শিওরে বসিয়া পড়িস পবিত্র কুরআন \
শান্তির জন্য মানুষ প্রেম করে। কেউ প্রিয়তমার সাথে কেউ প্রিয়তমর সাথে আর কেউ প্রেম করে অনন্ত প্রেমের মহাজন রঙ্গীলা বাড়ইর সাথে। কিন্তু আশেক যখন তার কাঙ্খিত মেহবুবকে অর্জন করতে পারে না; তখন শান্তনার বানী উচ্চারণ করে এভাবেই নিজেকে শান্তনা দান করে। আর তা বাউল হেলাল খান বন্ধুবিচ্ছেদ গানে এভাবেই উচ্চারণ করেছেন-
যে প্রেমেতে নাই শান্তনা শুধু যে লাঞ্চনা
বিনয় করি এমন প্রেম আর তোমরা কেউ কইর না\
এখানেই শেষ নয়; ইতিমধ্যে বাউল হেলাল খান কাওয়ালী, মুর্শিদী, বিচ্ছেদী, শরীয়ত, মারেফত, দেহতত¦সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় পাঁচ হাজারের অধিক গান লিখেছেন- সুরম নদীর নাইয়া.., মাটির ঘরে কে যে বিরাজ করে.., সজনী দোয়া করি ভালো থেকো ভুলিয়া মোরে.., হলদি মেন্দি আনো জলদি করিরে.., যত না গান লিখেছি তোমার কথা বলেছি .., ভালোবেসে গেলাম শুধু সারা জীবন ভর.., কালার প্রেমে এতো জ্বালা.., ময়না পাখি পোষলাম আমি রে.., নিদয়ারে কেনো মন দিলাম রে আমি.., জানি না সে কেমন আছে বুক বাধিয়া পাষাণে.., মাঝি ভাই পুরা মনের দুঃখ.., মনের দুঃখ বলব কারেরে.., সুখ যদি পাও কান্দাইয়া রে.., সোনা চান্দি চাইনা আমি চাই যে শুধু তোমারে.., পাহাড় সমান দুঃখ দিয়া.., আমি তর সনে প্রেম করে সখি আমার গেলো কুলমান.., বসন্তের দিনে বন্ধু এসো আমার বাড়ি.., ফেইস বুকে লাগছে দেখো মজার হাট-বাজার.., গানের সুরে ডাকে কারে.., শাহাজালালের দেশে থাকি আমরা বড় ভাগ্যবান.., আমার সকল নিলে কেড়ে দিলে শুধু জ্বালারে.., আয়কে যাবি আয়রে তরা গফুর শাহ বাবার আস্তানায়.., দেখ দেখ নগরবাসি দেখরে আসিয়া.., প্রেম জ্বালায় অঙ্গ জ্বলে গো সখি আর জ্বালা সহে না.., তোমারই ভুবনে আমি এতিম অসহায়.., আমার শেষ বিয়ারই সাজন সাজাও.., যার প্রেমেতে নাাই শান্ত্বনা শুধু যে লাঞ্ছনা.., হৃদয়হীন পাথর তুমি পাষাণ তোমার মন.., হে দ্বীন দরদী, চিত্তে যোগাও তব গান হে মহিয়ান.., রাজন নামের শিশু ছেলে মারিলো পাষাণে.., ডাকছি তোমায় দয়াল নবী তুমি কী ডাক শোন না.., দিলে জানে রাসুল বলে.., আমার আপন জনা পর হইলো গো সখি.., তুমি এত পাষাণ বন্ধুরে বন্ধু আগে তো জানি না.., নিশিতে ডাকি কাতর মনে সোনা বন্ধুয়ারে.., হঠাৎ কখন উড়ে যাবে দেহের প্রাণ পাখি.., আমি অকূলে ভাসাইলাম তরী.., আশার বাঁশি ভেঙে গেল বৃথা কল্পনায়.., শাহজালালের ভাগনা তিনি আল্লার ওলি শাহপরাণ.., তুমি আমার জীবন মরণ তুমি আমার প্রাণের প্রাণ.., আমি ডাকি নবীজীরে আমার হৃদয় উজাড় করে .., ওগো আমার খোদা, ওগো আমার মালিক.., তোমায় আমি ভালোবেসে.., বাহিরটা তোর যেমন দেখি ভিতরটা তোর তেমন না.., আমি কি করিলাম রে ও প্রাণসই ভালোবেসে.., অন্তরযামী দয়াল তুমি সকল খবর রাখরে.., পুড়ে পুড়ে অঙ্গার আমার সারাটি জীবন.., জাল্লে-জালাল জিকির করে জালালি কৈতর.., মনের দুঃখ মনে লইয়া হয় যদি মরণ.., আরে বন্ধু বুঝলাম না তর ভাও.., ভালোবাসার মানুষ আমার.., উড়ে গেলে ময়না পাখি শূন্য হবে ঘর.., মরে গেলে পরে থাকবে শূন্য খাঁচা তর.., কত দিন হলো দেখিনি তোমায়.., ভুলিতে পারি না মনেতো মানে না.., আয়কে যাবি আয়রে তোরা জালাল বাবার আস্তানা.., বিশের তীর বিঁধিলো বুকে, কিতালাগি গেলায়তুমি লন্ডনে.., সিলেটে আসিয়া জালাল.., চলে গেলে প্রাণ বন্ধু আর কি দেখা হবে না.., মনরে আমি বুঝাই কত মন কাঁদেরে অবিরত.., আমারে কান্দাইয়া কালা কি সুখ পাইলে অন্তরে.., যে ব্যথা দিয়াছে আমার মনে.., ওগো আমার খোদা.., হৃদয়ভরে তোমায় ডাকতে সাধ্য দাও আমারে.., শাহজালাল বাবার দেওয়ানা.., আমি ডাকি নবীজিরে, আমার হৃদয় উজার করে.., জালাল বাবা আল্লার ওলি.., খেয়টা বন ছিলো ক্যান, গবিন্দ ভাগছিল ক্যান.., গফুর শাহ বাবাজানের কোনবাড়ি.., জালাল বাবা যখন সিলেট এলো রে.., অলি আল্লাহর গান গাইতে সাধ্য দাও আমারে.., খাঁচার ভিতর ময়না পাখি রাখিলাম পালি পুষি.., জিকির পর নবীর নাম ধরি.., সুরমা পারে বাড়ি আমার সিলেট শহরে.., এলে বাবা শাহজালাল সিলেটেতে.., গাওরে সবাই গাও জালালের গান গাও.., মোবাইল ফোনে কথা বলে যায়নারে মনের টেনশন.., ভাগ্য গুণে সাতার কাটি অকুল সাগরে.., বেশি করে গাছ লাগান, পরিবেশের প্রাণ বাঁচান.., ঔষধী গাছের মাঝে একটা শ্রেষ্ঠ উপাদান.., তোমার নামটি স্মরণ করে ছাড়িলাম ভাবের তরী.., মোহাম্মদ মোস্তফা নবী উম্মতের কাণ্ডার.., দয়া কর দয়াল আল্লা পাপী বান্দা তর.., শুনো শুনো ঐ শুনোরে.., ও গানের আশেকান.., জিকির পর নবীর নাম ধরিরে.., আজকে আছে কতকিছু কালকে তাহা রবে না.., গান গাইলাম আর গান লেখিলাম.., আসরে পরানের কালা আমার বাসর ঘরে.., ভবে বন্ধু চিনা ভীষম দায়.., তোরা আমায় বলরে.., আইলে গেলে বইলে খাইলে আমায় পাগল বানাইলে.., দুনিয়া মিছে মায়া কেন বুঝ না.., সোনার বাংলা স্বাধীন হইলো মুক্তিসেনার অবদান.., বিজয়ের মাস আসলে বেশি মনে পড়ে যায়.., ও রূপসী মাইয়া.., হাতির গায়ে শক্তি দেখিয়া খানি বগলায় লইছে ফাল.., তুমি ভেঙ্গে দিয়েছ এ হৃদয়গো সজনী.., মন কেড়েছে আর প্রাণ কেড়েছে.., আমি জীবনে কি ভুল করিলাম.., এই দুনিয়া মিছে মায়া বুঝলে না রে অবুঝ মন.., নিশিতে ডাকে যে কোকিলা.., কালায় শিখাইলো বাউলা আর বাড়াইলো জ্বালা.., বাড়ি ঘরের আশেপাশে বেশি করে গাছ লাগান.., নতুন সাজে সব সেজেছে দেখতে ভালো লাগেরে.., ভুলতে পার তুমি আমায় আমি ভুলতে পারব না.., স্বরণ করি ওগো আল্লাহ তুমিতো কুদরতে কামাল.., জীবন ভরা এত গান আমি গাইলাম কার লাগিয়ারে.., বাংলাদেশের খুলনা বসে কেড়ে নিলে এ পরান.., গুড় গুড় করে ডাকে যে আসমানে.., জীবন ভরা গাইলামরে গান.., শরাবি হায় নয়তো আমি তুমি বানালে.. ইত্যাদি।
বাউল কামাল পাশা যদি প্রায় পাঁচ হাজার গান লিখে গানের সম্রাট উপাধি পেতে পারেন, শাহ আব্দুল করিম যদি চৌদ্দ শ গান লিখে বাউল সম্রাট হতে পারেন। তাহলে পাঁচ হাজারের অধিক গান লিখে বাউল হেলাল খানও গানরাজ উপাধি পাবার যোগ্য হয়ে উঠেছেন তাতে সন্দেহ নেই। আমি তাকে গানরাজ বাউল হেলাল খান উপাধিতে অভিশিক্ত করলাম এবং আমাদের গানরাজের জন্য শুভকামনা। সব শেষে গানরাজ বাউল হেলাল খানের একটি বিদায় গানের মাধ্যমে শেষ করছি।
শোনবি যখন এই পাগলাটার পাখি গেছে উড়ে
শূন্য খাঁচা দেখিস এসে থাকিস যতই দূরে
ওরে থাকিস যতই দূরে\
শিওরে বসিয়া আমার শোনাবি সেই বানী
যে বানিতে দূর হবে সে পারের পেরেশানি
আঁধারে হবে রৌশনি, তব কন্ঠের সেই সুরে\
শোনবি যখন এই পাগলটার পাখি গেছে উড়ে
শূন্য খাঁচা দেখিস এসে থাকিস যতই দূরে,,
ওরে থাকিস যতই দূরে\
উচ্চ স্বরে সবার তরে করবিরে ঘোষণা
ভুল ত্রুটি আর ঋণগুলোকে করিতে মার্জনা
হেলাল খানের মন বাসনা বলবি সবার তরে \

প্রবন্ধকার: কবি, কথাশিল্পী, সংগঠক ও কাব্যকথা সাহিত্য পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2025
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি