গত ১৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় দৈনিকে প্রকাশিত এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম(ফেসবুক)এ প্রচারিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন পুলিশের সাবেক ইন্সপেক্টর মোঃ আব্দুস সোবহান। প্রেরিত এক প্রতিবাদলিপিতে তিনি উল্লেখ করেন, আমি মোঃ আবদুস সোবহান দীর্ঘ ৩৭ বৎসর যাবৎ পুলিশের বিভিন্ন পদে সুনামের সহিত চাকুরী করে অবসর নিয়েছি। চাকুরির জীবনে স্বপরিবারে নারায়নগঞ্জের বন্দরে ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করছি। সৎপথে জীবন যাপন করায় এই পর্যন্ত শহরে কোনো স্হায়ী ভাবে বসবাস করার নিবাস নেই। এই কারনে এখনো আমি একটা প্রাইভেট চাকুরী করে জীবন যাপন করছি। বিগত ২৩/১০/১৬ ইং তাং তফসিল সেলসারদী জেএল নং সাবেক ২৮৪ নং আরএম-৭৩ নং মৌজা সোলসারদীস্থিত। খতিয়ান নং সিএস ৩৭ নং এসএ-১৬ নং আরএস-৭৫নং নামজারী-৪৫১নং খতিয়ানভুক্ত যার জোত নং ৪৫০. দাগ সিএস ও এসএ ৭নং আরএস ৮ নং দাগে নাল জমি মোট ৮৫ শতাংশ হতে আমার স্ত্রী মোসাঃ দেলোয়ারা বেগম নামে নামজারী ১২৪৭ অযুতাংশ তাহা হতে মং ০৫৮৭ অযুতাংশ। যার উত্তরে-কোহিনূর গং দক্ষিণে সরকারী রাস্তা পুর্বে কামাল হোসেন ও পশ্চিমে-আঃ সাত্তার। সাফ কাবলা দলিল নং ৬০৭৮ মুলে জনৈক নুরেআলম গং হতে ক্রয় করা হয়। জমিটি উঁচু ও নীচু ছিল। আমার জমিনের দক্ষিণ অংশে সরকারী রাস্তা হওয়ায় প্রতি বৎসর স্থানীয় মেম্বারগন আমার জায়গা হতে মাটি কেটে রাস্তার পাশে ফালানোর কারনে বড় ধরনের গর্তের সৃষ্টি হয়। আমি মাঝে মধ্যে জায়গার কাছে যেয়ে গর্তের বিষয়ে জানতে চাইলে সরকারী রাস্তার পাশে বৃষ্টির কারনে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় তা ভরাট করার জন্য আমার জায়গা হতে মাটি নিয়েছে বলে আমাকে জানানো হয়। আমি জায়গাটি নেয়ার পর থেকে স্থানীয় মেম্বার মকবুল ও তার ভাই গুলজার আমার সাথে কথা বলে না। এই জায়গা আমি কিভাবে ব্যবহার করি তা দেখে নেওয়ার হুমকি দিতেছিল। ইচ্ছে করে আমার জায়গায় মাটি কেটে হালট ও সরকারি খাল বলে প্রচার করতে থাকে। আমি যখন জায়গা কিনি তথন একটি ছোট্ট নালা ছিল। সরকারী হালট ও খাল দাবী করা হলে স্হানীয় সার্ভেয়ার দিয়ে আমার জায়গা পরিমাপ করে সীমানা দিলেও সীমানার সিমেন্টের খুটি বিবাদীরা রাতের অন্ধকারে উঠিয়ে ফেলে। তাদের দুই ভাইয়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আমি বন্দর থানায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযাগ দায়ের করলে থানার হস্তক্ষেপে বিবাদী মুকবুলের উপস্থিতিতে জমি পরিমাপ করা হয়। কিন্তু আমি সরকারি হালটে আছি প্রমান করতে পারেনি। সীমানাও লারতে পারেনি। আমি জায়গাটি ভরাট করার জন্য আড়গোড়া ও মেম্বারের আপত্তি কারনে আমার ব্যক্তিগত জায়গায় ৬” সিমেন্টের পাইপ দেই। কিন্তু বিবাদী মকবুল গং আড়ালে থেকে বিরোধিতা করায় বালু ভরাট করতে পারিনি। ৫ আগষ্ট /২০২৪ অযুহাতের সুযোগ নিয়ে মকবুল গংসহ অপরাপর ৪/৫ জন দুষ্কৃতকারীরা ৭/০৮/২৪ তাং বিকাল অনুমান সাড়ে ৫টায় আমার আড়গোড়ায় আগুন ধরিয়ে দেয়,আড়গোড়া ভাংচুর, রাস্তায় ও গর্তে থাকা ৮/৯ টি সিমেন্টের পাইপ ভেঙ্গে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে। মাঠে থাকা ৮/১০ টি বাশ লুট করে নিয়ে যায়। ছাত্র জনতার উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। ঘটনার বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিলে ঘটনাটি বিবাদী মুকবুল গং ঘটিয়েছে বলে সত্য প্রমানিত হলে পারভেজের সহযোগিতায় বিবাদীগন পাইপগুলো মেরামত করে দেন। এই ভাবে একটার পর একটা ইস্যু করে আমার কাজে বাধা দিচ্ছে। আমাকে মানসিক ভাবে হেয় করছে। গত ১৩এপ্রিল সকাল অনুমান সাড়ে ৯টার সময় মকবুল গং আড়ালে থাকিয়া জনৈক পারভেজ ও সুমনকে দিয়ে আমার বালু ভরাট কাজে বাধা দেয়। স্থানীয় কিছু লোকজনের হস্তক্ষেপে বালু ভরাট করতে থাকি। সুমন সরে গেলেও পারভেজ নামক ব্যক্তিটি গত ১৯/০৪/২৫ তাং বিকাল অনুমান সাড়ে ৩টায় ০১৭৯৯৭৭৭৩৬৯ নাম্বার থেকে আমার নাম্বারে রিং দিয়ে দৈনিক ডান্ডিবার্তার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে জনৈক শরিফুল বলে পরিচয় দেন ও আমি সরকারি হালট ভরাট করছি বলে জানতে চাইলে আমি তা সঠিক নয় বলে প্রতিবাদ করি। আমি জানতে চাই সাথে কে আছে। উত্তরে জনৈক পারভেজের কথা বলে। আমি তাকে অনুরোধ করে বলি ভাই আপনি সাংবাদিক বস্তুনিষ্ঠ, সত্য নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করবেন বলে আমি আশা করি। বিবাদীগন আমার সাথে যত জুলুম অত্যাচারসহ তাদের কার্যকলাপ সংক্রান্তে অবহিত করি। সে আমার কথা কোনো কর্নপাত না করে একপেশি মিথ্যা সংবাদ সহ আমার পোশাক পরিহিত ছবি সংগ্রহ করে আমাকে হেয় করার প্রয়াসে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে ও অন্যের প্ররোচনায় মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে আমার মান সম্মান ক্ষুন্ন করেছে। যদিও জায়গার প্রকৃত মালিক আমার স্ত্রী মোসাঃ দেলোয়ারা বেগম। আমি ১৯ এপ্রিলের ফেসবুকের মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংযুক্ত ঃ সার্ভেয়ারের জমির নকশা
মোঃ আবদুস সোবহান
সাবেক পুলিশ পরিদর্শক(নিঃ)
আমিন আবাসিক
বন্দর,নারায়নগঞ্জ।
২১/০৪/২৫.
০১৮১৯৪৫১৯৭৬.
Leave a Reply