1. admin@dainikbijoy24.com : dainikbijoy-24 :
সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ০৭:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আ জ ম ওবায়েদুল্লাহর জীবন ও কর্ম পরিশীলিত এবং দেশপ্রেমিক প্রজন্ম তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। — চট্টগ্রাম সংস্কৃতি কেন্দ্র আয়োজিত ‘আমাদের ওবায়েদ ভাই’ শীর্ষক স্মরণানুষ্ঠানে বক্তারা মুন্সিগঞ্জ লিফ লাউঞ্জে আন্তর্জাতিক মা দিবস উদযাপন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির স্বরণ সভায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিদেশে নয়, দেশের ভেতরেই সমস্যার সমাধান করতে হবে  মাহমুদনগরে শহীদ জিয়া স্মরণে বিএনপি নেতা সামাউনের দোয়া-তবারক বিতরণ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকীতে জিয়া পরিবারের সদস্য আরমানের  দোয়া ও আলোচনা বিএনপি নেতা স্বপন মাহমুদের উদ্যোগে শহীদ জিয়ার শাহাদাৎবার্ষিকী পালণ ১৬ বছর জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকী  পালণ করতে পারিনিঃ নেভিনা সন্তানকে সাথে নিয়ে প্রিয় নেতা শহীদ জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকী পালণ করলেন বিএনপি নেতা মুকুল সন্তানকে সাথে নিয়ে প্রিয় নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকীর বিভিন্ন আয়োজনে অংশ নিলেন মুকুল কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় সাগরে ট্রলার ডুবে নিখোঁজ ৮ মাঝি-মাল্লা, ২৪ ঘণ্টায়ও মেলেনি কোনো খোঁজ

জব্বারের বলীখেলা প্রতিষ্ঠার ১১৬ বছর ৥ এবারের আসর বসবে ২৫ এপ্রিল, প্রধান সড়কে বসবে না মেলা।

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১৭৯ বার পাঠ করা হয়েছে

চট্টগ্রাম ব্যুরো।

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী আব্দুল জব্বারের বলীখেলার ১১৬তম আসর বসছে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল)। এদিন বিকাল ৪টায় ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে তৈরি বিশেষ মঞ্চে লড়বেন বলীরা। প্রতিবছরের মতো এবারও বলীখেলা ঘিরে ২৪, ২৫ ও ২৬ এপ্রিল বসছে দেশের অন্যতম বড় বৈশাখী মেলা। তবে এবার প্রধান সড়কে (আন্দরকিল্লা থেকে কোর্ট বিল্ডিং পর্যন্ত) মেলার স্টল বসতে দেওয়া হচ্ছে না
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১২টায় নগরের লালদীঘিপাড়স্থ সিটি করপোরেশন লাইব্রেরি মিলনায়তনে আব্দুল জব্বারের বলীখেলার ১১৬তম আসর উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব শওকত আনোয়ার বাদল। ‘প্রায় ১১৫ বছর আগে চট্টগ্রাম শহরের বদরপাতির বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমার দাদা আব্দুল জব্বার সওদাগর ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে এ অঞ্চলের যুবকদের শারীরিকভাবে প্রস্তুত করতে ১৯০৯ সালের ১২ বৈশাখ লালদীঘি ময়দানে এই বলীখেলা শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় জীবিত থাকতে তিনি, এরপর আমার মরহুম বাবা; ১৯৮৬ সাল থেকে আমি এবং ভাইয়েরা চট্টগ্রামবাসীকে নিয়ে প্রতিবছর ১২ বৈশাখ ২৫ এপ্রিল বলীখেলা আয়োজন করে আসছি। এবারের বলীখেলার আসর ১১৬ তম। এতে অংশ নিতে ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বলীরা আমাদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছেন।—
আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব শওকত আনোয়ার বাদল বলেন, ‘প্রতিবারের মতো এবারও বলীখেলায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ১০০ জন বলী যোগাযোগ করেছেন। অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক বলীর জন্য সম্মানি থাকবে।’

চ্যাম্পিয়ন বলীর জন্য তিনি বলেন, ‘যারা অংশগ্রহণ করবে তাদের জন্য সম্মানি রয়েছে। আর চ্যাম্পিয়ন, রানার্সআপ, তৃতীয় ও চতুর্থ যারা হবেন, তাদের আকর্ষণীয় সম্মানি দেওয়া হবে। পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন, রানার্সআপের জন্য ট্রফি তো থাকছেই। তবে
প্রধান সড়কে বসছে না মেলা

সংবাদ সম্মেলনে শওকত আনোয়ার বাদল জানান, লালদীঘি মাঠে বলীখেলার জন্য মূল রিং স্থাপন করা হবে। নগরের কোতোয়ালী মোড়, আন্দরকিল্লা, সিনেমা প্যালেস ও বদরপাতি এলাকা ঘিরে বসবে বৈশাখী মেলার শতাধিক স্টল। শিশুর পুতুল-খেলনা থেকে শুরু করে খাবার, হস্তশিল্প, পোশাক, কসমেটিকসহ নানান সামগ্রী পাওয়া যাবে মেলায়।

তবে নিরাপত্তা ও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আন্দরকিল্লা থেকে কোর্ট বিল্ডিং পর্যন্ত প্রধান সড়কে মেলার স্টল না বসানোর পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। দোকান বিক্রি, দখল, চাঁদাবাজি রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকবে বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চট্টগ্রামের সংস্কৃতির অংশ হয়ে ওঠা এই আয়োজনকে ঘিরে এবারও তিন দিনের বৈশাখী মেলায় নানা আয়োজন থাকছে। গ্রামীণফোন এবারের বলীখেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক। বলীখেলা উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

আব্দুল জব্বারের বলীখেলার ১১৬ তম আসর উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন…
এদিকে জব্বারের বলীখেলাকে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে লালদীঘি চত্বরকে তার স্মৃতিরক্ষায় নামকরণ এবং বলীখেলা একাডেমি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাও রয়েছে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের চট্টগ্রাম সেন্ট্রাল রিজিয়নের রিজিওনাল হেড মোহাম্মদ মোরশেদ আহমেদ বলেন, ‘জব্বারের বলীখেলার মতো একটি ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় আয়োজনে অংশ হতে পেরে গ্রামীণফোন গর্বিত। এর আগেও আমরা এই আয়োজনের পৃষ্ঠপোষক ছিলাম। আমরা স্থানীয় ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও কৃষ্টির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সমাজ ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে এমন আয়োজনের পাশে থাকতে সংকল্পবদ্ধ গ্রামীণফোন।’
বলীখেলা ও বৈশাখী মেলাকে ঘিরে দূর-দূরান্ত থেকে

প্রধান সড়কের মেলা বসতে না দেয়া অনেকে অসন্তুষ্ট প্রকাশ করেছে

বলীখেলার ১১৬ বছর, জব্বারের ‘সম্মানার্থে’ হয়নি কিছুই

জব্বারের বলীখেলা ও মেলা চট্টগ্রামের ক্রীড়া, সংস্কৃতি এবং বিনোদনের অংশ হয়ে গেছে। যা এখন দেশের বৃহত্তম বার্ষিক লোক উৎসব হিসেবে পরিণত হয়েছে। আর প্রতিবছর এ খেলাকে ঘিরে আয়ও হয় বেশ। তবে খেলা-মেলা শেষের পরই আয়ের হিসাব হাওয়ায় মিশে যায়। অন্যদিকে এত বছরেও খোদ জব্বারের ‘সম্মানার্থে’ কিছুই করা হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ বলেন, ‘পেছনের ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না। এ খেলার আয়োজন করতে গিয়ে যদি বাণিজ্যিক স্বার্থ, ব্যক্তি-গোষ্ঠীকে প্রাধান্য দিই বা শুধু বিনোদনের অংশ হিসেবে প্রাধান্য দিই; তাহলে আব্দুল জব্বারের স্মৃতির প্রতি এবং এই ঐতিহাসিক খেলার প্রতি অবিচার হবে। এ বলীখেলার ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং মর্যাদা ধরে রাখতে হবে। তাহলে এটা যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের যেকোনো ইভেন্টে ফাইন্যান্সিয়াল ট্রান্সপারেন্সি (আর্থিক স্বচ্ছতা) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দেখেছি— নগরে স্বাধীনতা ও মুক্তিযোদ্ধার নামে যে মেলা হতো; সেই মেলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবই হাওয়ায় মিলে যেত। কোনো হিসাব-নিকাশ থাকতো না। কে টাকা তুলে, ফান্ড কোথায় যায় কোনো কিছুই নেই। একইভাবে জব্বারের বলীখেলাও এতদিন ধরে যারা আয়োজন করেছেন, এটার যে ইনকাম (আয়), এক টাকা নাকি ২শ’ কোটি জানা নেই কারো! এছাড়া আনুষ্ঠানিক আয় কত, অনানুষ্ঠানিক আয় কত সেটাও কেউ জানে না।’

জব্বারের পরিবারকে উদ্দেশ্য করে শাহ নওয়াজ বলেন, ‘এত বছরেও জব্বারের সম্মানার্থে একাডেমি প্রতিষ্ঠা, স্মারকগ্রন্থ বের করা, সেমিনার করা, স্থায়ী প্রতিষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি। আমরা ইউনেস্কোর দিকে তাকিয়ে আছি, সরকারের দিকে তাকিয়ে আছি। আমরা কার কাছে দাবি জানাব! আপনারা (জব্বারের পরিবার) এগিয়ে এলেই আমরা সামনের দিকে যেতে পারবো। এগুলো করার জন্য আপনাদের এগিয়ে আসতে হবে। সরকার বা ইউনেস্কোকে বাধ্য করার আগে আপনাদের নিজেদের উদ্যোগে কিছু করার দরকার ছিল। আপনারা চাইলে তো সেটি করতে পারতেন।’

তিনি বলেন, ‘এই বলীখেলা ঘিরে অতীতে যে ইনকাম হয়েছে সেটার ফান্ড কোথায় গেছে জানি না! তবে ভবিষ্যতে শৃঙ্খলা মেনে আয়ের হিসাব রেখে একটা ফান্ড প্রতিষ্ঠা করুন। আর সেই টাকা দিয়ে সামর্থ্য অনুযায়ী উনার (জব্বার) সম্মানার্থে কিছু করা শুরু করুন। তাহলে বাকিগুলো ধীরে ধীরে হয়ে যাবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের চট্টগ্রাম সেন্ট্রাল রিজিয়নের রিজিওনাল হেড মো. মোরশেদ আহমেদ, বিজনেস সার্কেলের মার্কেট কমিউনিকেশন প্রধান মো. আব্দুল্লাহ আল নূর, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক জাহেদুল করিম কচিসহ আয়োজক কমিটির সদস্যরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2025
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি