বিনোদন প্রতিবেদক:
একুশে গ্রন্থাগার ও শহীদ রাহাত স্মৃতি সংঘ কর্তৃক আয়োজিত শিশু-কিশোর সাহিত্য পত্রিকা মাসিক বাহান্ন কর্তৃক পরিবেশনায় ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ ১ মে বৃহস্পতিবার বিকেলে গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী, গোপালপুর রাইজিং সান একাডেমিতে অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। কবি ও সম্পাদক কাজী নাজিম উদ্দিন সুমনের সভাপতিত্বে এবং কবি ও সংগঠক ইকবাল হোসেন রোমেছের সঞ্চালনায় জাহিদ হাসানের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানটি উদ্ধোধন করেন, টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি (তদন্ত) আতিকুর রহমান আতিক। একুশে গ্রন্থাগারের পক্ষে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আব্দুল্লাহ আল রিমন। আয়োজনের মূল আকর্ষণ অর্থাৎ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি, গবেষক, বহু ভাষাবিদ, দৈনিক ডেসটিনি সম্পাদক মাহমুদুল হাসান নিজামী। প্রধান আলোচক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন কবি, ঔপন্যাসিক ও গীতিকার প্রফেসর মো. আমির হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কবি ও ছড়াকার চঞ্চল মেহমুদ কাশেম, কবি ও সংগঠক কাজী আনিসুল হক হিরা, কবি ও সাংবাদিক জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, কবি, নাট্যকার ও পরিচালক রোকোনুজ্জামান লিটন পল্লী, কবি ও বাচিকশিল্পী মনির ইসলাম। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি ও লেখক মোহাম্মদ শামীম মিয়া, কবি ও গীতিকার আনোয়ার হোসেন আনু, কবি ও গীতিকার হারুনুর রশিদ, কবি রহিম ইবনে বাহাজ। প্রত্যেকেই স্ব স্ব বক্তব্যের পাশাপাশি স্বরচিত কবিতাপাঠ করেন। ছোটদের মধ্যে খাদিজাতুল কুবরা তাহিরা তার বাবা কাজী নাজিম উদ্দিন সুমনের ফিলিস্তিনির শিশু কবিতা আবৃত্তি করে শোনান। ছড়া পাঠ করেন খুদে অতিথি মুহাম্মদ মাহাদী হাসান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো: কিরণ, আরিফুল ইসলাম অন্তর, শফিকুল ইসলাম হীরা, মিনহাজ মিয়া, সাজ্জাদ সরকার সাগর, আরফান, আব্দুল্লাহ আল আমিন, আব্দুল্লাহ আল ইমন, ইমরান হোসেন, খালেদ মাহমুদ, ইমন হোসেনসহ আরো অনেকে। সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে গণহত্যাকারী ও তাদের দোসরদের পণ্য বয়কট করে বিকল্প স্বদেশী পণ্য ক্রয় ও ব্যবহার করতে উৎসাহিত করা হয়। সব শেষে উপস্থিত কবি-লেখকবৃন্দ একুশে গ্রন্থাগারে তাদের স্বরচিত বই-সহ বিভিন্ন বই উপহার দেন। বিশেষ অতিথি কবি , নাট্যকার ও দৈনিক বিজয় সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সেন্টু অসুস্থ থাকায় উপস্থিত হতে পারেনি। গ্রন্থাগারের বিশেষ আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। পাঠাগারে সবাই প্রয়োজনীয় বই উপহার দিয়ে পরিপূর্ণ সাজিয়ে দিবেন বলে জানান।
Leave a Reply