মোহাম্মদ ইমতিয়াজ ফারুকী চট্টগ্রাম ব্যুরো।
চট্টগ্রামের আদালত প্রাঙ্গণের অদূরে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে আইনজীবী আলিফ হত্যা সহ ৪ মামলা চিন্ময় কৃষ্ণ শ্যোন অ্যারেস্ট
সনাতনী জাগরন জোটের মুখপাত্র ধন্দন কুমার ধর @ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে কোতোয়ালি থানার তদন্তাধীন ০৪(চার) মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর।
কোতোয়ালি থানার মামলা নং- ৫২(১০)২৪ ধারাঃ ১২০-খ/১২৪-ক/১৫৩-ক/১০৯/৩৪ পেনাল কোড সংক্রান্তে,দায়েরকৃত মামলার এজাহারনামীয় অন্যতম আসামী শ্রেনীপ্রাপ্ত হাজতী ০১। চন্দন কুমার ধর @ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী পিতা- আশুতোষ ধর সাং-করাইয়া নগর,থানা- সাতকানিয়া,চট্টগ্রাম
মঙ্গলবার( ৬ মে) বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৬ জনাব এসএম আলাউদ্দিন মাহমুদের আদালতে ভার্চুয়ালি শুনানি শেষে এই আদেশ দেন
এর আগে গত সোমবার (৫ মে) সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দীন ভার্চ্যুয়াল শুনানি শেষে আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয় ।
কোতোয়ালী থানার মামলা নং- ৪২(১১)২৪, কোতোয়ালি থানার মামলা নং- ৪৩(১১)২৪ কোতোয়ালি থানার মামলা নং- ৪৪(১১)২৪ কোতোয়ালি থানার মামলা -৪৭(১১)২৪ সংক্রান্তে মামলা সমূহ দায়ের করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তাগন বর্নিত মামলা সমূহে ঘটনায় বর্নিত আসামী জড়িত মর্মে তদন্তে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় উল্লেখিত মামলা সমূহে গ্রেফতার দেখানোর নিমিত্তে পৃথক ভাবে আবেদন করেন। আসামীকে ভার্চুয়ালি অনলাইনে সংযুক্ত করে শুনানির জন্য অদ্য পূর্ব নির্ধারিত দিন ধার্য করায় নথি উপস্থাপন করেন।
গত বছরের ২৫ নভেম্বর চট্টগ্রামে ফেরার পথে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বহিষ্কৃত চিন্ময় ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কোতোয়ালী থানায় হওয়া একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হলে জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত।
পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজনভ্যানে তোলা হয়। তখন চিন্ময়ের অনুসারীরা প্রিজন ভ্যান আটকে দেন। তারা এ সময় প্রায় তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লাঠিপেটা করে ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। পরে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে প্রবেশপথের বিপরীতে রঙ্গম সিনেমা হলের গলিতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে নগরের কোতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। একইদিন আলিফের ভাই খানে আলম বাদী হয়ে ১১৬ জনকে এজাহারনামীয় করে বিস্ফোরণ আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশের কাজে বাধা আদালতে গাড়ি ভাঙচুর বিস্ফোরক আইন সহ পৃথক পৃথক আরো তিনটি মামলা হয়।
Leave a Reply