রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার ভাল্লুকগাছি ইউনিয়নের ধোকড়াকুল ডিগ্রি কলেজে ঘটে গেলো এক অনাকাঙ্ক্ষিত রক্তক্ষয়ী ঘটনা। জানা যায়, গত ৮ মে বৃহস্পতিবার উক্ত কলেজ ক্যাম্পাসে সাব্বির নামের এক উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীর সাথে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, উক্ত কলেজের অধ্যাপক একরামুল ইসলামের পৃষ্ঠপোষকতায় তারই ভাতিজা অপু কলেজটিতে উশৃংখল চলাফেরা করে। অধ্যাপক একরামুল ইসলাম উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন। এবং বর্তমানে তিনি তার ভাইকে উক্ত কলেজের সভাপতি করতে মুখিয়ে আছেন। তিনি এই কলেজে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করতে চান। যার ফলশ্রুতিতে তিনি তার ভাতিজাকে দিয়ে কলেজে একটি আতংকের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চান। সাধারণ শিক্ষার্থীদের তার ভাতিজার অশ্লীল ভাষা ও আচরণের আতংকে থাকতে হয়। কেউ এই অপুর অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে তাকে স্থানীয় প্রভাব দেখিয়ে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয়। ঠিক একইরকম ঘটনা ঘটে গত ৮মে বৃহস্পতিবার। সাব্বির নামের এক উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থী ও তার বন্ধুমহল একটি শ্রেণীকক্ষে মোবাইলে ছবি তোলার সময় দরজা বন্ধ রাখায়, অপু এসে দরজায় কড়া নারলে তাদের দরজা খুলতে বিলম্ব হলে অপু দরজায় লাথি মারতে থাকে। এমতাবস্থায়, সাব্বির দরজা খুললে অপু সাব্বিরের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে অপু সাব্বিরকে স্থানীয় প্রভাব দেখিয়ে মারধরের ও কলেজে প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে সাব্বির উক্ত কলেজের অধ্যক্ষের নিকট অপুর বিরুদ্ধে নালিশ করতে যায়। নালিশ করে বের হতেই অপু কলেজে কিছু স্থানীয় বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসে হকস্টিক, জি আই পাইপ সহ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে সাব্বিরের উপর হামলা চালিয়ে তাকে রক্তাক্ত করে। এ সময় অধ্যক্ষ তাদের মারপিট থামাতে চাইলে অপু সেই অধ্যক্ষকেও বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দেয়। পরবর্তীতে আহত সাব্বিরকে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে তার মাথায় ৬টি সেলায় দেওয়া হয় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানের ক্ষতের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: কবির হোসেন বলেন, “আমরা আহত সাব্বিরের একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply