বন্দর(নারায়ণগঞ্জ)সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি তথা নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিরাজুল ইসলামের কণ্যা সামিয়া ইসলাম নেভিনা বলেছেন,আমরা ১৬ বছর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকী পালণ করতে পারিনি। শাহাদাৎবার্ষিকী কিন্তু খাবার বিলানো নয়, এখান থেকে জানার,বুঝার এবং শিক্ষা নেয়ার অনেক কিছু আছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বলতেন প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ জীবন বাংলাদেশ আমার মরন বাংলাদেশ। একজন রাষ্ট্রনায়কের কথার সাথে কাজের যে কতটা মিল থাকে সেটা জিয়াউর রহমান সাহেবের জীবন এবং মৃত্যু থেকেই বুঝতে পারবেন। ৩০ মে শুক্রবার বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক,আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বন্দর থানা জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাস কর্তৃক নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২২নং ওয়ার্ডের বাড়ইপাড়াস্থ সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সামিয়া ইসলাম নেভিনা আরো বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি বীর সেনানী সর্বাবস্থায় দেশের জন্য জাগ্রত ছিলেন। দেশের জন্য তিনি নিজের জীবন দিয়ে দিয়েছেন। আমরা সেই শহীদ প্রেসিডেন্টের রাজনীতি করি। আজকে দেশে রাজনীতির নামে অপরাজনীতি শুরু হয়েছে। যে কোন মূল্যে এই অপ নামটা মুছে ফেলতে হবে। বাউল শিল্পী মমতাজ বেগম জানেনা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কে? সে নাকি জানে শহীদ হচ্ছে কোন নাম। এইরকম মুর্খ মানুষ ১৬ বছর সংসদে ছিল। আমাদের এইসব চেঞ্জ করতে হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী শহীদ জিয়া পরিবারের সদস্য খন্দকার মাহমুদুল হাসান আরমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সামিয়া ইসলাম নেভিনা। বন্দর থানা জাসাসের সভাপতি এ্যাড. মতিউর রহমান মতিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশ নেন সংগঠনের সহ-সভাপতি মোঃ শাহজাহান ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম স্বপন। সিদ্দিকুর রহমানের সহযোগিতায় আয়োজনে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সংগঠনের সদস্য মোঃ ইউনূস,মোঃ রুবেল,মোঃ সেলিম,মাজেদুল ইসলাম মুকুল,আহসান হাবিব এবা প্রমুখ।