নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা:

মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক এবং আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম-এর ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালন করা হয়েছে। এই উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী, শহীদ জিয়া পরিবারের সদস্য খন্দকার মোঃ মাহমুদুল হাসান (আরমান)-এর উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, সাংবাদিক, যুবসমাজ এবং বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ। আলোচনাসভায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জীবনী, অবদান ও দেশের প্রতি তাঁর অসামান্য আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বক্তারা বলেন—জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক, যিনি মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনা পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই অসাধারণ নেতৃত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত বহুদলীয় গণতন্ত্র আজও দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

প্রধান আয়োজক হিসেবে খন্দকার মোঃ মাহমুদুল হাসান (আরমান) তাঁর বক্তব্যে বলেন, “শহীদ জিয়া কেবল একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, তিনি ছিলেন একটি আদর্শ, একটি চেতনা। তাঁর দর্শন, সাহসিকতা এবং দেশপ্রেম নতুন প্রজন্মের জন্য প্রেরণার উৎস। আমি তাঁর পরিবারে জন্ম নিয়েছি, এটা আমার জন্য গৌরবের বিষয়—এই আদর্শ বুকে ধারণ করেই আমি রাজনীতির মাঠে এসেছি। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মানুষের সেবা করতে চাই, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখতে চাই।” তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মানবাধিকারের চরম সংকট চলছে। এই সংকট থেকে উত্তরণে শহীদ জিয়ার আদর্শই আমাদের দিকনির্দেশনা দিতে পারে। তাই আমরা তাঁর কর্ম ও চিন্তাকে আরো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে চাই, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মাঝে।”অনুষ্ঠানে বিশেষ সহযোগিতা ও উপস্থিতি ছিল বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক সিদ্দিকুর রহমান, ইউনুস সদস্য, রুবেল সদস্য, সেলিম সদস্য, মুকুল, আহসান হাবীব এবা, এস. এম. জামান, খন্দকার শহীদুজ্জামান মিন্টু রানা, মোঃ শাহাজাহানসহ আরও অনেকের। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার তারেক জিয়া প্রজন্ম দলের সভাপতি মোঃ মুরাদ হোসেন, সহ-সভাপতি শ্রীদাম চন্দ্র দাস, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম এবং তারেক জিয়া  প্রজন্ম দলের সদস্য মনা প্রমুখ। দোয়া মাহফিলে শহীদ জিয়াউর রহমানের রূহের মাগফিরাত কামনা করা হয় এবং তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশবাসীর জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রার্থনা করা হয়। এই অনুষ্ঠানটি নারায়ণগঞ্জে শহীদ জিয়ার আদর্শ ও রাজনৈতিক দর্শন ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।