বন্দর প্রতিনিধি:
বন্দরে বিএনপির দু’ গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘটিত জোড়া খুনের ঘটনার পর পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে ২২নং ওয়ার্ডের হাফেজিবাগ এলাকা। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় পুলিশী টহল অব্যাহত রয়েছে। এদিকে ৪ ঘন্টার ব্যবধানে পর পর দুটি হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার পর পুলিশ হত্যাকান্ডের মূল আসামীদেরকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। যদিও এই পর্যন্ত ১১জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে কিন্তু মূল আসামীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকে নিহতদের পরিবারে আশংকা কাটেনি। সূত্র মতে, ৫ আগষ্টের পর থেকে আধিপত্য বিস্তার ,অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখলদারিত্বকে কেন্দ্র করে বন্দর শাহী মসজিদ হাফেজীবাগ এলাকায় বিএনপির দুই গ্রুপ রনি-জাফর ও হান্নান সরকার সমর্থক বাবু গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল। এক পর্যায়ে বিরোধ চরম আকার ধারণ করলে গত শুক্রবার রাতে তাদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়। এর জের ধরে গত শনিবার সন্ধার দিকে বন্দর বাসস্ট্যান্ডে রনি-জাফর গ্রুপের পারভেজকে না পেয়ে তার বাবা রাজমিস্ত্রী আব্দুল কুদ্দুসকে(৬৫) কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। কুদ্দুস হত্যাকান্ডের কয়েক ঘন্টা পার না হতেই রাত ১১টায় হান্নান সরকারের সমর্থক মেহেদী হাসানকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে রনি-জাফর গ্রুপের সদস্যরা।
Leave a Reply