1. admin@dainikbijoy24.com : dainikbijoy-24 :
বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ০৬:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্বাস্থ্য কার্ড পাচ্ছেন ৩৬ জেলার ৪,৫৫১ জুলাই যোদ্ধা  পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের পানিবন্দী মানুষের পাশে চসিক মেয়র  ডা. শাহাদাত হোসেন বন্দরে অস্ত্র ঠেকিয়ে গরু নামানোর ভিডিও করায় তিন সাংবাদিকের ওপর হামলা চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব এর উদ্যোগে আবদুল্লাহ আল নোমানের স্মৃতিচারণ সভায় ডা. শাহাদাত হোসেন  নারায়ণগঞ্জে জাতীয় যুবশক্তির সাংগঠনিক কার্যক্রম ও থানা সফর শুরু নগরজুড়ে জলাবদ্ধতা না হওয়া একটি বড় সাফল্য: চসিক মেয়র নতুন বাজেটে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে যেসব পণ্যের চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই বিএনপি নেতা গ্রেফতার  আ জ ম ওবায়েদুল্লাহর জীবন ও কর্ম পরিশীলিত এবং দেশপ্রেমিক প্রজন্ম তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। — চট্টগ্রাম সংস্কৃতি কেন্দ্র আয়োজিত ‘আমাদের ওবায়েদ ভাই’ শীর্ষক স্মরণানুষ্ঠানে বক্তারা মুন্সিগঞ্জ লিফ লাউঞ্জে আন্তর্জাতিক মা দিবস উদযাপন

দেশে আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠা জরুরী ৥ গাজী সাঈদ দেলোয়ার

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১২৯ বার পাঠ করা হয়েছে

আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দেশের সকল নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর শেষে ৫৪বছর পদার্পণ করেছে আজও কি দেশে আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে?এক কথায় বলা যায় হয়নি। সুশাসন তো দূরের কথা আইনের শাসনের বিন্দুমাত্রও নেই। স্বাধীনতার ৫৩ বছর শেষে সরকার প্রধান থেকে শুরু করে সরকারি আমলা প্রশাসন এর দায়ভার রয়েই যায়। দেশের সাধারণ মানুষকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার বা সরকারের দায়িত্বে থাকা প্রশাসনের কার্যকরি পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। দেশে আমরা যারা বসবাস করি তারা প্রত্যেকেই মানুষ কেউ রোবট নয়। তাহলে কেনো দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হচ্ছেনা। স্বাধীনতার এতো বছর পরেও বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশ গুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যেতে পারলামনা? কেনো পিছিয়ে আছি?
দেশে যে কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসে মন্ত্রী-এমপিরা এমন কি তাদের তৃণমূলে যে নেতা-কর্মীরা রয়েছে তারাও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পরে। যেখানে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে রক্ষক হয়ে দেশ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা সেখানে তারাই ভক্ষকের ভূমিকায় দেশের সম্পদ লুটপাট করে আসছে। সব কিছুর ঊর্ধ্বে থেকে দলের মন্ত্রী এমপি কিংবা দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা দুর্নীতি থেকে স্বচ্ছতায় ফিরিয়ে আনতে হবে। প্রশাসনকে করতে হবে দুর্নীতি মুক্ত, নিরপেক্ষ। এক কথায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে থাকতে হবে জিরো টলারেন্স। প্রশাসনের ঘুষ বাণিজ্য বন্ধ করে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে রাখতে হবে ন্যায়পরায়ণ ও দুর্নীতি মুক্ত। আমরা মানুষ সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে জীবন পরিচালনা করে থাকি সেখানে সামাজিকভাবেও সাধারণ মানুষকে বিচারের নামে চলে একতরফা প্রহসন, যা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয় তারা।
একটা দেশে সুশাসন তখনই প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব যখন আমরা সাধারণ মানুষ দেশকে মায়ের মত ভালোবাসতে পারবো। দেশের সকল সম্পদ নিজের মত করে রক্ষণাবেক্ষন করতে পারবো। দেশের জন্য নিজের ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগাতে পারবো দুর্নীতির বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার থাকতে পারবো। এটা অবশ্যই সম্ভব যদি দেশের প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে আর সাধারণ মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকে। আমাদের দেশের প্রশাসন সব সময় প্রশ্নবিদ্ধ থেকেই যায়। যারা দেশের আইনকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে তারাই চাকরির নামে ঘুষ বাণিজ্যে দুর্নীতি জন্ম দিয়ে থাকে। আর চাকরি পাবার পর থেকে ঘুষ দেয়া অর্থ তুলে নিতেই তারা জড়িয়ে পরে ঘুষের রাজত্বে। দেশের মানুষ নিরুপায় হয়ে যখন আইনের আশ্রয় নিতে আসে তখন প্রশাসনের একতরফা প্রহসনের জন্য সাধারণ মানুষ ঘুষ বাণিজ্য থেকে রক্ষা পেতে দেশের সাধারণ মানুষ আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সব ধরনের অপকর্ম করেই যাচ্ছে। যার প্রভাব পড়ে প্রশাসন থেকে শুরু করে সরকারি কিংবা স্বায়ত্বশাসিত বা বেসামরিক যে কোনো প্রতিষ্ঠানের ঘুষ বানিজ্যসহ দেশের আপামর সাধারণ মানুষের উপর। সমগ্র দেশে যতপ্রকার সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে তাদের কে অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তাদেরকে ছাড়িয়ে নেবার জন্য কোনো ঘুষ বাণিজ্য চলবেনা কোনো প্রকার তদবির করা যাবেনা। দ্রুত তাদের বিচার কার্য শেষ করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু আদৌ কি সম্ভব যেখানে প্রশাসন নিয়ে যারা কাজ করে তারা ঘুষ ছাড়া এক পা ও নড়তে নারাজ এটা স্বাধীন দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে সাধারণ মানুষকে প্রশাসনের কাছে জিম্মি করে রাখা। তেমনি দেশের মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে তাদের কাজ হাসিলে ব্যস্ত থাকে। দেশে আইন হতে হবে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে দেশের সাধারণ মানুষের জন্য সমান অধিকার। যা কখনো দেখা যায়নি। আমাদের দেশে কয়েক ভাগে আইন বিভক্ত হয়ে রয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের জন্য এক রকম বিরোধী মতবাদের জন্য অন্য রকম সাধারণ মানুষের জন্য আরেক রকম। যদি সবার জন্য সঠিকভাবে আইন প্রয়োগ করা হতো তাহলে দেশে এতো বিভক্তি থাকতো না বলে মনে হয়। বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকায় ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, রয়েছে তাদের কাছ থেকে স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন মাসোহারা নিয়ে থাকে বলেই তারা সমাজ ও মানুষকে ধ্বংস করে নিজের আখের গুছাতে ব্যস্ত থাকে। যেমনটা করে থাকে দেশের বড় বড় ব্যবসায়ী সংগঠন গুলো দেশের মানুষকে জিম্মি করে ইচ্ছেমতো ক্রয় ক্ষমতার উর্ধ্বে দাম নির্ধারণ করে বাজারে পণ্য ছাড়া হয় যা সাধারণ মানুষের জন্য গলার কাটা হয়ে দাঁড়ায়। এই অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা প্রয়োজন এবং দেশের মানুষের কাছে জবাবদিহি সরকার প্রধানকে নিশ্চিত করতে হবে। সমাজের প্রতিটি মানুষের উচিৎ এই সমস্ত অপকর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো আসুন আমরা সকলে মিলে সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলি দেশ আমার, আইন আমার জন্য। আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দেশের সকল নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2025
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি