চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিস
চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার থানাধিন বাকলিয়া ডিসি রোড এলাকায় ৩ কোটি টাকার জায়গা জোর পূর্বক থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেকের পক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশার নেতৃত্বে জোর পূর্বক দখল তান্ডব ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ঘটনায় বুধবার বিকাল তিনটায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারটি সংবাদ সম্মেলন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের দাবি আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মালেক ৮ শতক জায়গা ২ কোটি ৩৩ লাখ ২৫ হাজার টাকায় দর দাম হয়। আবদুল মালেক ২০ লাখ টাকা অগ্রিম প্রদান করেন বাকী টাকা দুই মাসের মধ্যে দিয়ে রেজিস্ট্রি নেয়ার কথা। দুই মাসের পরিবর্তে প্রায় বছর দেড় বছর চলে গেলেও বাকি টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রি নিতে পারেনি। টাকার জরুরি প্রয়োজন হওয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা মালেকের দেয়া ২০ লাখ টাকা ফেরত দিয়ে অন্য জনকে বিক্রির কথা বলার সাথে সাথে ক্ষিপ্ত হন। এক পর্যায়ে মালেকের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে চান্দগাও থানাধিন একটি নির্জন পরিত্যাক্ত ভবনে নিয়ে অপহরণ করে জিম্মি করে রাখেন প্রায় ১০/১২ ঘন্টা। আমাদের আত্মীয় স্বজনদের মাধ্যমে খবর পাঠিয়ে জিম্মি করে মালেকসহ সন্ত্রাসীরা নগদ ৫ লাখ টাকা, ৩ কোটি টাকার তার দেয়া চেক নিয়ে নেন। একই সাথে আরও চারটি চেক ১০ লাখ টাকা করে অস্ত্র ঠেকিয়ে নেন।তৎকালীন সময়ে চান্দগাও থানায় মামলা করতে গেলে সন্ত্রাসীদের দলীয় পরিচয় জানার পর দলীয় প্রভাবে পুলিশ কোন সহযোগিতা করেনি।পরবর্তীতে এ ঘটনায় আদালতে মামলা করলে আদালত পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। সিবিআইর তদন্তের ঘটনার প্রকৃত বিষয়টি প্রমানিত হয়। এরপর আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মালেক বিভিন্ন সময় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জায়গাটি জোর পুর্বক দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালালেও একাধিবার ব্যর্থ হন। হঠাৎ ১১ ফেব্রুয়ারী বেলা ১২ টায় যুবদল নেতা এমদাদুল হক বাদশার নেতৃত্বে ১০০/১৫০ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী মালেকের পক্ষ হয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভাংচুর তান্ডব দখল এবং টিনের ঘেরা দেন। ৯৯৯ এ ফোন করা হলে চকবাজার থানা পুলিশ উপস্থিত হলেও ঘটনাস্থলে যুবদল নেতা এমদাদুল হক বাদশাসহ সন্ত্রাসীরা পুলিশের চোখে পড়লেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা দেয়নি। যুবদল নেতা বাদশার নেতৃত্বের পুরো চকবাজার ও বাকলিয়া এলকায় দখল বাণিজ্য করে আসছে। তাদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ বলে দাবি করেন। এ সময় উপস্থিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোঃএকরাম এসব কথা তুলে ধরেন আরো উপস্থিত ছিলেন আকরাম গং পরিবারের সদস্য মোঃ ওসমান মোঃ ইব্রাহিম মোঃ ইউনুছ মোঃ আব্দুল্লাহ মোঃ নাছির সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার অনেক সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ।
Leave a Reply