নিজস্ব সংবাদদাতা:
৩ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সসস্ত্র বাহিনী বিভাগের সিভিল লিয়াজো(সিএল)এর সদ্য অবসরপ্রাপ্ত সেকশন প্রধান মোতালেব মোল্লার বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও তান্ডব চালিয়েছে তারই আপন ৩ ভাই। এতে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সম্প্রতি থানার পূর্ব হাজীপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় মোতালেব মোল্লার বড় পুত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও থানা পুলিশের রহস্যজনক নিরবতায় এ ঘটনার কোন অগ্রগতি না হওয়ায় বাদী পুলিশের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছে। অভিযুক্ত আসামীরা স্থানীয় যুবলীগ নেতা। ৩লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে এ তান্ডব চালায় বলে বাদী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান। আব্দুল্লাহ আল মামুন তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, বিবাদী ১। আব্দুল আলী মোল্লা (৫৪) পিতা-শুক্কুর মাহমুদ মোল্লা, ২। আজিম মোল্লা (৪৫) পিতা- শুক্কুর মাহামুদ মোল্লা, ৩। শিপলু (২৫) পিতা-আজিম মোল্লা, সর্ব সাং-পূর্ব হাজিপুর, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন-৪নং ওয়ার্ড, থানা-বন্দর, জেলা-নারায়ণগঞ্জসহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮জন। সকল বিবাদীরা স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের দোসর পূর্বে থেকে স্থানীয় এলাকার মানুষদের জায়গা সম্পত্তি দখলদারি ও চাঁদাবাজি করে আসছে। সকল বিবাদীরা আমার পিতার ক্রয়কৃত সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল ও ঝগড়া বিবাধ করার জন্য পাঁয়তারা করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারী আমার পিতার ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে দালান নির্মাণ করার সময় সকল বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র লাঠিসোঠা নিয়ে এসে বাধা প্রদান করে এবং আমাদের উক্ত সম্পতিতে জায়গা দাবি করে আমাদের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আমরা দিতে অস্বীকার জানাই ও আমাদের সম্পত্তিতে জায়গা পায় তার কাগজপত্র চাইলে সকল বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ছোট ভাই আকিব মাহামুদ (২২) ও দালান নির্মাণ শ্রমিকদের এলোপাথারি ভাবে মারধর করে নীলা ফুলা জখম করে ও আমাদের সম্পত্তির দালান জোরপূর্বক ভাবে ভেঙ্গে ফেলে এবং পুনরায় দালান নির্মাণ করিলে আমাদের চাঁদা প্রদান করে কাজ নির্মাণ করিতে পারিবে বলে জানায়। উক্ত বিষয়ে কোন প্রকার আইনী সহয়তা প্রদান করিতে গেলে আমাদের পরিবারের লোকজনদের প্রান নাশের হুমকি প্রদান করে। তাই উক্ত বিষয়ে আমি আমার পরিবার ও আত্নীয়-স্বজন এর সাথে আলাপ আলোচনা করে থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দায়ের করিলাম। অতএব, উক্ত বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করিতে আপনার সদয় মর্জি হয়। বর্তমানে দোসরদের অব্যাহত হুমিকে চরম নিরপত্তাহীন শংকার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে নিরীহ আব্দুল মোতালেব ও তার পরিবারের সদস্যরা।
Leave a Reply