
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নাসিক ৮ নং ওয়াডের আওয়ামী লীগের নেতা ও ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনার দোসর লঙ্গী মাহাবুব ও মানিক বকাউল এখনো বহাল তবিয়তে থেকে স্হানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়। এলাকার একটি সুত্র আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, আওয়ামী লীগের সময়কালে দূর্নীতিবাজ ও ছাত্র আন্দোলনে অর্থ যোগানদারী চাঁদপুইরা মানিক ৮ নং ওয়াডের সকল আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ক্যাডারদের ঐক্যবদ্ধ করে দফায় দফায় মিটিং করার পায়তারা করছে। এছাড়াও সকলে মাঝে অর্থ যোগানদার হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। সুত্রটি আরও জানান, জুলাই আগষ্টের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ছাত্রী আন্দোলনে যখন সব জায়গায় হত্যা কান্ড শুরু হয় তখন এই মানিক বকাউল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নাসিক ৮ নং ওয়াডের রুহুল আমীন সহ আওয়ামী লীগের দোসর খুনি শেখ হাসিনার গুন্ডা বাহিনীর অর্থের যোগানদারকারী। এছাড়াও আওয়ামী লীগের এমপি খুনি একেএম শামীম ওসমানের সাথে ছিল মানিক বকাউল এর গভীর যোগাযোগ। তাদের ছত্রছায়ায় থেকে মানিক বকাউল কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। সৈয়দপাড়া গোদনাইল নারায়ণগঞ্জ এ রয়েছে তার কোটি কোটি টাকার ব্যবসা। চৌধুরী বাড়ি তার ব্যাংক রয়েছে। ২ নং ঢাকেশ্বরী রয়েছে নিটিং ব্যবসা। সৈয়দপাড়ায় রয়েছে ৫ তালা বিশিষ্ট ৪ টি নিজস্ব বাড়ী। এছাড়াও রয়েছে তার প্রতিটি বাড়ীতে কম করে হলেও ৫০ থেকে ৬০ টি অবৈধ গ্যাসের চুলার সংযোগ। এছাড়াও এলাকার বাহিরে রয়েছে অঢেল ব্যাবসা বানিজ্য। এলাকার সকলের একটি প্রশ্ন একটি সাধারণ মানুষ থেকে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ ৮ নং ওয়াডের গোদনাইল বউবাজার শান্তি নগর সৈয়দপাড়া এলাকার চিহ্নিত মানিক বকাউল এতো অঢেল সম্পদের মালিক কিভাবে হলো। একটি সুত্র বলেন ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পরে মানিক বকাউল তার ছায়া পরিবর্তন করে বিএনপির ৮ নং ওয়াডের ২/১ জন নেতাকে মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে এলাকার মধ্যে বহাল তবিয়তে থাকার চেষ্টা করে আসছে। এদিকে ছাত্র ছাত্রী আন্দোলনের সময় ও আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকাকালীন সকল মিটিং মিছিলে থাকতেন এই মানিক বকাউল তার সাঙ্গ পাঙ্গু দের সাথে নিয়ে। তাদের মধ্যে ঘুষখোর সুদখোর আওয়ামী লীগের নেতা খায়রুল ইসলাম, এলাকার চিহ্নিত গ্যাসচোর। অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া লম্বু আওলাদ, টেংরি গাড়ীর চালক তাদের একান্ত সহযোগী মাথামোটা রহমতুল্লাহ, আওয়ামী লীগের দোসর ও নেতা হত্যা মামলার আসামী সৈয়দপাড়ার জসিম ও আওয়ামী লীগের সৈয়দপাড়া এলাকার আওয়ামী যুবলীগের অফিস কার্যালয়ের পরিচালক মুলহোতা মুদির দোকান মালিক শফি আহমেদ গং। এদের অত্যাচারে বিএনপির নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন বাড়িতে থাকতে পারেনি। তারা সংবদ্ধ হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে। এই সকল ছাত্র ছাত্রী আন্দোলনের সময় ঐক্যবদ্ধ হয়ে হত্যা সহ সকল মিটিং মিছিলে নেতৃত্ব দিতো মানিক বকাউল। এলাকাবাসী নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার সহ সিদ্ধিরগন্জ পুলিশের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। আগামীকালও চোখ রাখুন।
Leave a Reply